রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫,
১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
রাজনীতি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা : শামসুজ্জামান দুদু
নিজস্ব প্রতিবেদক
Publish: Thursday, 19 September, 2024, 8:58 PM  (ভিজিট : 93)

 ছবি : সংগৃহীত
 বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,সাংবাদিক দম্পতি সাগর রনির হত্যার বিচার করতে হবে। ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের  উচিত সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা’

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) উদ্যোগে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিল, সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে এক সামবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, বিএফইউজে সহ-সভাপতি এ কে এম মহসিন, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, শহীদুল ইসলাম, শাহীন হাসনাত, খন্দকার আলমগীর, সাঈদ খান,আবু বকর, ফজলুল হক প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্য শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সাগর-রুনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যে সরকারের সময় হত্যা করা হয়েছিল, সেই সরকারের অনেক প্রিয়ভাজন ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল বলে অনেক মানুষ মনে করে। এ কারণে দীর্ঘ সময় এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়েছে, কিন্তু চার্জশিট দেয়া হয়নি। এখন এই সরকারের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) দায় মুক্তির সময়। যদি তারা এই দায় কাঁধ থেকে নামাতে চায়, তাহলে সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার। তারা বলেছে, এটি তারা করবে। আমরাও বিশ্বাস করি এটি তারা করবে। কিন্তু সময় থাকতে তা শেষ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সেই বিবেককে যদি মুক্ত না করা হয়, কালা-কানুন যদি বাতিল করা না হয়, তাহলে দেশের কী পরিস্থিতি এটি তুলে ধরা সাংবাদিকদের জন্য খুব কঠিন। এই সরকারের সাংবাদিকরা যে দাবি জানিয়েছে, আমি আমার দলের পক্ষ থেকে সেটি সমর্থন করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এটাকে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে জরুরি কাজ বলে মনে করি।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘এখনো অনেক কালাকানুন আছে। এগুলো বাতিল করতে হবে। একটি গ্রহণযোগ্য আইন করতে হবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে সকল আইন করা হয়েছে, সে সকল আইন বন্ধ করতে হবে।’

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ যেসকল হত্যাকাণ্ড হয়েছে তাদের বিচারের দাবিতে আমার এখানে দাঁড়িয়েছি। সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা আইন করতে হবে। মুক্তভাবে সাংবাদিকতা করার সুযোগ করে দিতে হবে। যে সকল সাংবাদিকরা হাসিনার কুকর্মে সমর্থন দিয়েছে আমরা তাদেরও বিচার চাই। আমাদের দাবিগুলো অবিলম্বে মেনে নিতে হবে। সাগর-রুনির হত্যার বিচার অবিলম্বে করতে হবে।’

কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘এখনো কালা-কানুনগুলো দূর হয়নি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এখনো নিরঙ্কুশ হয়নি, নিশ্চিত হয়নি। অনেক সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। সেগুলোর বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। কালা-কানুনগুলো যেন রোধ করা হয়। সাগর-রুনির প্রকৃতি খুনিদের যেনো চিহ্নিত করা হয় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়। একটি অন্তর্বর্তী সরকারের এখন দেশ চালাচ্ছে। তারা একটি সংস্কারের কাজ করছে। আমাদের দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রত্যেকের দায়িত্ব তাদের সহায়তা করা, সংস্কারের ক্ষেত্র তৈরি করা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সুগম করা। সেক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়-দায়িত্ব আছে।’

৩৬ জুলাই শেষ হয়ে যায়নি- জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলতেই থাকবে। এই সংস্কার শুরু হয়েছে এবং পরবর্তীতে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের হাতে সেই সংস্কার চলবে। গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি এখনো অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছ। সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি এবং আঞ্চলিক ও পরাশক্তিগুলোর মধ্যেও আমাদের এই সাফল্য নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র আছে। এগুলোর ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা যেন এগুলো সম্মিলিতভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে, সচেতনতার সাথে, পরিপক্কতার সাথেধ, ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করি।

সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। আমরা তিনটা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছি। প্রথম দাবি ছিল এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। দ্বিতীয় দাবি ছিল সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার। তৃতীয় দাবি ছিল সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে। দীর্ঘ আন্দোলন এবং সংগ্রামের পরে সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে আজকে এই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও এখনো দু’টি দাবি আদায় হয়নি। সেগুলো হলো, সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। আমরা উপদেষ্টা পরিষদের কাছে আহ্বান রাখতে চাই, অবিলম্বে সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। এর বাহিরে আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। কোনো তালবাহানা দেখতে চাই না। আমরা ১৬ বছর ধরে যে দাবি করে আসছি সেটার থেকে এক চুলও নড়বো না। সাগর রুনিসহ ৬৫ জন সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। এরপরে সকল বন্ধ গণমাধ্যম গুলোকে খুলে দিতে হবে।

আ. দৈ. /কাশেম
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ময়মনসিংহে বাকচান্দা এএস একাডেমির সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি চলছে
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
‘শামীম ওসমান পালিয়েছে,এখনো তার দোসরদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে’
দ্রুতই জুলাই সনদ তৈরি হবে: আলী রীয়াজ
কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর ঢাকায় গ্রেফতার
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভা
পদত্যাগ করলেন আটাবের সবুজ মুন্সী
ঢাকা দুই সিটিতে আওয়ামী দোসর ও দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় বিএনপির ব্যাপক তদবির
রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১২ বছর , তবু মেলেনি বিচার, নিশ্চিত হয়নি ক্ষতিপূরণ
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
রাজনীতি- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝