ঢাকা মহানগরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির আগে এখন থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ঠিকাদারদের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি নিতে হবে। যদি এই শর্ত লঙ্ঘন করে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে এ বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষর করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংস্থা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিনের বেলায় রাস্তা খুঁড়ে দীর্ঘ সময় মেরামতের কাজে লাগিয়ে দেয়। এতে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না রেখেই খোঁড়াখুঁড়ি করা হয় এবং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জায়গা কেটে ফেলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির সময় ট্রাফিক সিগন্যাল ও দিকনির্দেশনাসংবলিত সাইনবোর্ড লাগানোর বিধান থাকলেও তা মানা হয় না। খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সৃষ্ট আবর্জনা পাশের লেনে ফেলে রাখা হয়, ফলে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাস্তার দুই পাশেই খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তা সংকুচিত করা হয়।
ডিএমপি কমিশনারের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রাতের বেলায় খোঁড়াখুঁড়ি করা হলেও যথাযথভাবে তা ভরাট না করায় দিনের বেলায় যান চলাচলে সমস্যা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা অনেক সময় প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহের আগেই রাস্তা খুঁড়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যানবাহন নিয়ন্ত্রণ বা ডাইভারশনের জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয় না, যার ফলে যানজট বেড়ে যায় এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা যাবে না। রাতের বেলা কাজ করে সকালে রাস্তা উন্মুক্ত করতে হবে।
কাজ শুরুর তারিখ ও শেষ করার সময় আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
খোঁড়াখুঁড়ির আগে-পরে ২০০ মিটারের মধ্যে ট্রাফিক নির্দেশনা ও সিগন্যাল লাইট স্থাপন করতে হবে।
কোনো রাস্তা সর্বোচ্চ সাত দিন খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা যাবে এবং পরবর্তী তিন রাতের মধ্যে তা মেরামত করতে হবে। ডিএমপি এই নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে এবং নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর আগে, ২৮ ফেব্রুয়ারি রমজান মাসে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি না করার জন্য ডিএমপি একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।
আ.দৈ/আরএস