রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫,
১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
অর্থ-বাণিজ্য
নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ ঠিক রাখতে তৎপর সরকার
গরীবের আবার রোজার বাজার!
মরিয়ম সেঁজুতি
Publish: Saturday, 1 March, 2025, 5:33 PM  (ভিজিট : 109)

আমরা গরীব মানুষ দিন আনি, দিন খাই। দিন যত যাইতেছে বাজারে দাম বাড়তেছে। কিন্তু আমাগো ভাড়া বাড়ে না। বাজারের সবকিছু হাতের বাইরে। আমাগো মতোন গরীবের আবার রোজার বাজার কী, আর এমনে বাজার কীÑ সবই সমান! কথাগুলো বলছিলেন রিকশাচালক আজিজুল হক। 

পেটের দায়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছেন ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে। রিকসা চালিয়ে কোনরকম চলছে সংসার। কিন্তু বাজারের উর্ধ্বগতির সঙ্গে যেন পেরে উঠছেন না। বললেনÑ জিনিসপত্রের দামে যেন আগুণ লাগছে। কোনভাবে খাইয়া- না খাইয়া বাইচা আছি। 

আগামী ১ মার্চ রমজান শুরু হওয়ার কথা। সে হিসেবে রমজান শুরু হওয়ার আগে আজ শুক্রবার ছুটির দিনের শেষ বাজার। বেশিরভাগ ক্রেতা তাই কয়েকদিন আগে থেকেই রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন। আজও একই প্রস্তুতি নিয়ে বাজারে আসবেন। তবে কাচা সবজি ছাড়া প্রায় বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা।

 বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অনেকেই প্রয়োজনের আলোকে পণ্য না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। মূলত, রমজানে চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, খেজুর, বিদেশি কিছু ফল, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগিসহ ১২ থেকে ১৫ ধরনের পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। আর এসব বাড়তি চাহিদার সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরই রোজার আগে সরবরাহের সংকট দেখিয়ে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন তারা।
 
এবার রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমদানিতে শুল্কছাড়, বাজার মনিটরিং ও টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি আগেই ছিল। এখন এ ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি, বাজার মনিটরিং আরো বাড়ানোসহ বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকরাে মনে করেন, এসব পদক্ষেপে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করা যায়। তবে দুশ্চিন্তা কাটছে না মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের।

 এদিকে, বিক্রেতারা দায়ী করছেন ডিলারদের। আবার ডিলাররা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনো বাড়েনি তেলের সরবরাহ। যদিও রমজানে সাধারণ ভোক্তা ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ এবং খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। 

রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, বাজার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের একটি অংশ এখনো সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন,  ভোজ্যতেলের সরবরাহে কিছু ব্যবসায়ী অসহযোগিতা করছে, যা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে পারে। 

এই সংকটের কারণ খুঁজতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, ভোজ্যতেল রিফাইনারির তিনটি কোম্পানিকে এরই মধ্যে শোকজ করা হয়েছে। তারা লিখিত জবাবও জমা দিয়েছে, যা পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

গতকাল বৃহস্পতিবার কাওরান বাজার, শান্তিনগর বাজার, রামপুরা বাজারসহ রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। অধিকাংশ ক্রেতাই কিনছেন ইফতার পণ্য। তবে বাজারে ভোজ্যতেলের সংকটের কথা জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

গতকাল দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে অন্যান্য দিনের তুলনায় মুদি বাজারে কয়েকগুণ ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের। চাহিদা বেড়েছে ছোলা, বুট, চিনি ও সরবত আইটেমের। কাওরান বাজারে রমজানের পণ্য কিনতে আসা সালেহা বেগম নামে একজন ক্রেতা বললেন, ইফতারির পণ্য ছোলা, ডাল, বেসনসহ কিছু পণ্য কিনতে এসেছি। তিনি বলেন, ৩ থেকে ৪ দিনের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে ছোলার দাম। এখনো সব দোকানে ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও পাওয়া যাচ্ছেÑ তা আবার অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে বলে জানান গার্মেন্টসকর্মী সালেহা বেগম। 

বাজারে অন্য অনেক পণ্য স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে থাকলেও চাল ও তেল নিয়ে অস্থিরতা গত কয়েক মাস ধরেই চলছে। তেল ও চালের বাজারে ফেরেনি স্বস্তি। এরমধ্যে চালের দাম কেজিপ্রতি ৪-৬ টাকা বেড়েছিল। তবে বাজারে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল, সেটা এখনো কাটেনি, বরং আরো বাড়ছে। সেই সঙ্গে রোজার আগে নতুন করে বেড়েছে লেবু ও ব্রয়লার মুরগির দামও। প্রতি বছরেই রমজান আসলে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়িরা। এবারও রমজানের শুরুতে খেজুর, ছোলা, ডাল, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে। যা অনেকটা নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বলা চলে। 

এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, অনেক দিন ধরেই বোতলজাত সয়াবিন বাজার থেকে উধাও। ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে এগুলো উধাও করেছেন। এ নিয়ে রিফাইনারগুলো এবং তাদের ডিস্ট্রিবিউটররা একে অপরের ওপর দোষারোপ করছেন। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সরকারের উচিত, রমজানের আগে তদারকি জোরদার করা। যাতে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতি দেখিয়ে কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে না পারেন। এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কার্যদিবসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রমজানে ভোক্তাদের স্বস্তিতে রাখতে যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে, তা ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এখন অগ্রাধিকার কর্মসূচি। একই সঙ্গে টিসিবির পণ্য বিক্রির তদারকি জোরদার করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। 

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেই পণ্যের দাম কমাতে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেয়। এখন এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে যেভাবে করহার কমেছে, সেভাবে পণ্যের দাম কমছে না। ব্যাপক হারে শুল্ক কমানোর ফলে চিনির আমদানি বেড়েছে। ফলে বর্তমানে চিনির দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। এক মাস ও এক বছর আগে বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা কেজি। এ হিসাবে দাম কমেছে ৫ টাকা। তবে প্রতি কেজি চিনিতে শুল্ক কর কমেছে ১০ থেকে ১১ টাকা। এ হিসাবে চিনির দাম আরো কমার কথা। 

১৭ অক্টোবর ডিম আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। এতে ডিমের আমদানি বেড়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনও বেড়েছে। ফলে দামও কমেছে। প্রতি ডজন ডিম ২১০ টাকায় উঠেছিল। এখন তা কমে ১৩০ টাকায় নেমেছে। তবে এর দাম আরো কমার কথা, কিন্তু কমেনি। দেশে প্রতি ডজন ডিমের উৎপাদন খরচ সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ডিম ভেঙে যাওয়ার কারণে অপচয় খরচ বেশি। যে কারণে দাম কমছে না।

পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে শুল্ক প্রত্যহার করা হয়, এতে পেঁয়াজের আমদানি যেমন বেড়েছে, তেমনই দেশি পেঁয়াজও ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে। ফলে দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা কেজি। এক বছর আগে ১২০ এবং এক মাস আগে ছিল ৫০-৭০ টাকা কেজি।

আলু আমদানিতে শুল্ক ২০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়, ফলে কেজি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা। এর দাম গত আগস্টে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় উঠেছিল। তবে এক বছর আগে ছিল ৩০ টাকা কেজি। এক মাস আগেও ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এ হিসাবে আলুর দাম বেশ কমেছে।

গত বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরপর তিন দফা বন্যায় চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে স্থানীয় বাজারে এর দাম বেড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর চাল আমদানিতে মোট শুল্ক সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হয়। ৩১ অক্টোবর সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে চাল আমদানিতে ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রয়েছে। এতে চালের আমদানি খরচ কমেছে। ফলে সরবরাহ বেড়েছে। দাম কিছুটা কমলেও এখনো গত বছরের তুলনায় বেশি রয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৪ টাকা ও সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এসব চালের দাম এক সপ্তাহ আগে ১-৪ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। যেমন গতকাল মাঝারি মানের ব্রি-২৯ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এ চালের দাম ছিল ৬২-৬৫ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। আবার মোটা বলে পরিচিত স্বর্ণা চালের দাম ৩ টাকা কমে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদিও ঢাকার সব খুচরা বাজারে কম দামের চাল বিক্রি শুরু হয়নি।
  
দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভোজ্যতেলের বাজারে চলছে অরাজকতা। বড় আকারে শুল্ককর ছাড় দেয়া হলেও আমদানিকারকরা ভোক্তার সঙ্গে ‘ইঁদুর-বিড়াল খেলা’ থেকে বের হতে পারেননি। নানা অজুহাতে ফের সামনে এনেছেন দর বাড়ানোর আবদার। যদিও তা আমলে নিচ্ছে না সরকার। ফলে বিলম্ব আমদানি দেখিয়ে সরবরাহ কমানোর অভিযোগের তীরে বিদ্ধ তারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০ দোকান খুঁজলে মেলে দুই-এক দোকানে। একসঙ্গে পাঁচ লিটার কিনলে দামে কিছুটা সাশ্রয় হয়। সে জন্য এই বোতলের চাহিদা বেশি।

 খোলা সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক দেখা গেলেও কিনতে গিয়ে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। সরকার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দর ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৮২ টাকা দরে। কারওয়ান বাজারের আবদুর রব স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. নাইম বলেন, পাইকারিতে প্রতি লিটার কেনা পড়ে ১৭৫ টাকার বেশি, এর সঙ্গে আছে অন্যান্য খরচ। এ জন্য বাড়তি দরে বিক্রি করতে হয়। 

বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। ইফতারির অন্যতম পদ বেগুন দিয়ে তৈরি বেগুনি। এখন পর্যন্ত বেগুনের দাম নাগালে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সেই হিসাবে এরই মধ্যে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। টমেটো ২০-২৫, বেগুন ৩০, শিম ২০-২৫ ও শসা ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
 
রোজায় ছোলার চাহিদা বেশি থাকে। যে কারণে দামও বাড়ে। নভেম্বরে ছোলার কেজি ১১০ থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা হয়। পরে ২০ টাকা কমে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমলেও এখনো ১০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত রোজার আগে প্রতি কেজি ছোলা ছিল ১৩০ টাকা। এক বছরের হিসাবে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। মসুর ডাল গত বছরের মতো এবারও ১১০-১৪০ টাকা কেজি। 

প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। গত রোজার আগে ছিল ৭০০-৭৫০ টাকা। এ হিসাবে কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। এক মাস আগে ছিল ২১০ টাকা। গত রোজার আগে ছিল ২০০ টাকা। 

লেবুর বাজারে রমজানের প্রভাব
ইফতারে লেবুর শরবত কমবেশি সবার পছন্দ। সেই লেবুর বাজার ছয়-সাত দিন ধরে চড়া। হালিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারে এখন মাঝারি আকারের এক হালি লেবু কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে কেনা গেছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। মাল্টার দামও বেড়েছে। এক সপ্তাহে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। একইভাবে কমলা, আপেল ও আঙুরের দামও বেড়েছে কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা। পাশাপাশি দেশি ফলের দামও কিছুটা চড়েছে। তিন-চার দিন আগে পেয়ারার কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল শতক ছাড়িয়েছে। একইভাবে বিভিন্ন জাতের কলা ডজনে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দেখা গেছে।

উল্টো পথে খেজুর
অন্যান্য বছরে রোজার শুরুতেই খেজুরের দাম বাড়তে থাকে। তবে এবার খেজুরের দাম উল্টো পড়ে গেছে। ১৫ থেকে ২০ দিনে মানভেদে খেজুর কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ১০০ টাকা। বেশি চাহিদা জায়েদি খেজুরের। গত বছর মানভেদে কেজি ছিল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এবার কেনা যাচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। গত বছর এ সময় মাবরুর জাতের খেজুরের দাম ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, এবার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকার আশপাশে। আজওয়া বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৯০০ থেকে হাজার টাকা। কেজিতে ২০০ টাকার মতো কমে মেডজল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়। এভাবে অন্য জাতের খেজুরের দামও কমেছে।

আ.দৈ/আরএস

   বিষয়:  গরীবের   আবার   রোজার   বাজার  
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

টঙ্গীতে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
টঙ্গীতে ঝুটের গুদামে ভয়াবহ আগুন, আধাঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে
ইউনিয়ন ব্যাংকেরও শীর্ষ খেলাপি দেশবন্ধু গ্রুপ
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৮৯৬তম সভা অনুষ্ঠিত
ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভা
পদত্যাগ করলেন আটাবের সবুজ মুন্সী
ঢাকা দুই সিটিতে আওয়ামী দোসর ও দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় বিএনপির ব্যাপক তদবির
রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১২ বছর , তবু মেলেনি বিচার, নিশ্চিত হয়নি ক্ষতিপূরণ
শিগগিরই ঢাকা শহরে অটোরিকশার ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে অভিযান: ডিএনসিসি প্রশাসক
অর্থ-বাণিজ্য- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝