এক অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানার সন্ধান মিললো শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মর্ডান ফ্যান্টাসি কিংডমে। সেখান থেকে বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের যৌথ অভিযান উদ্ধার হলো অবৈধভাবে রাখা দশ প্রজাতির ৩১টি বিভিন্ন বন্যপ্রাণী।
নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি এলাকায় রোববার (১৬ ফেব্রয়ারি) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে বন্যপ্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়।
মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডমের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম দাবি করেন, “যেহেতু আমাদের হরিণের লাইসেন্স আছে,খামারের লাইসেন্স আছে। এ জন্যই আমরা মূলত একটি মিনি চিড়িয়াখানা দিয়েছিলাম। অন্য যা কিছু আছে আমরা এগুলোসহ আস্তে আস্তে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকেই সংগ্রহ করেছি। তখন তো আমাদের কেউ বলে নাই যে এগুলোর লাইসেন্স করতে হবে। এখন আমাদের কাছে যা আছে, তা বন্য প্রাণী অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছি।”
বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক ছানাউল্যা পাটওয়ারীর জানান, উপজেলার কলুকাঠি এলাকায় মর্ডান ফ্যান্টাসি কিংডম এন্ড মিনি চিড়িয়াখানায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী খাচায় প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছিলো।খাচায় রাখা ৩১টি প্রাণীর মধ্যে রয়েছে, ১টি করে ভালুক, মিঠা পানির কুমির, বার্মিজ অজগর, ৮টি সজারু, ২টি করে মেছো বিড়াল, বন বিড়াল ও কালিম পাখি, ১০টি ঘুঘু, ২টি করে টিয়া ও বালি হাঁস।
তিন বলেন, এধরণের অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বন বিভাগ। জনসাধারণকে অনুরোধ জানান, যদি কোথাও বন্য প্রাণী অবৈধভাবে আটকে রাখার তথ্য পাওয়া যায়, তবে নিকটস্থ বন বিভাগ বা বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটকে দ্রুত যোগাযোগের।
বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ৬ এবং ৩৪(খ) ধারায় বন্য প্রাণী অবৈধভাবে দখলে রাখা, শিকার, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। একই আইনের ৩২ ধারায় এসব প্রাণী জব্দ করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, উদ্ধারকৃত দেশীয় ১০ প্রজাতির ৩১টি অবৈধ প্রাণীগুলোকে যথাযথ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। পরে কিছু প্রাণ-প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে, আর বাকিগুলো গাজীপুর সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম ও মিনি চিড়িয়াখানায় কোনো ধরনের বন্য প্রাণী প্রদর্শন করা যাবে না, এই মর্মে আমরা মুচলেকা নিয়েছি। আমাদের এই অভিযান সারা বাংলাদেশে চলমান।
অভিযানে সাথে ছিলো স্থানীয় প্রশাসন ও ফরিদপুরের সামাজিক বন বিভাগ।
এমআই