হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেন জর্ডান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান যে, গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার কোনো পরিকল্পনা আরব দেশগুলো মেনে নেবে না।
বাদশাহ আবদুল্লাহ তার সামাজিক মাধ্যমে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গাজা এবং পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার ধারণা পুরো আরব বিশ্বের অভিন্ন অবস্থানের বিপরীত। তিনি আরও বলেন, গাজার পুনর্গঠন এবং মানবিক সংকট মোকাবিলা করা এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ, জনগণকে উচ্ছেদ না করে।
বৈঠকের পর বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনাকে "ফলপ্রসূ" বলে উল্লেখ করেন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তবে, তিনি আরো বলেন, গাজার ভবিষ্যৎ স্থায়ী শান্তির জন্য একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজন।
এই বৈঠকে ট্রাম্প গাজার নিয়ন্ত্রণ মার্কিন প্রশাসনের হাতে রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং বলেছিলেন, "আমরা এটা খুব ভালোভাবে চালাবো।" তিনি আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন গাজাবাসীদের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ একটি স্থান খুঁজে বের করা সম্ভব, যেখানে তারা সুখে বসবাস করতে পারবেন।
এদিকে, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার পুনর্গঠনে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। প্রথম তিন বছরে ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে, যার মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য, এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণে আরও প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার লাগবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণের জন্য আড়াই বিলিয়ন ডলার এবং চাষযোগ্য জমি তৈরির জন্য চার বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে, পশ্চিম তীরের উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাদশাহ আবদুল্লাহ, তিনি সতর্ক করেছেন যে, যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, তাহলে পুরো অঞ্চলের জন্য তা বিপর্যয়কর হতে পারে।
এএস//