কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার আলোচিত হাতকড়াসহ পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাই মামলার প্রধান আসামী মোঃ হাফিজুল ইসলাম এবং তার একসহযোগী চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানা এলাকায় র্যাব-৭-এর জালে ধরা পড়েছে।
এক ক্ষুদে বার্তায় র্যাব জানিয়েছে, গত ০৫ জানুয়ারি তারিখে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা কালে দুপুর আড়াইটায় আরাজি পাইকডাঙ্গা বাবুরহাট বাজার এলাকা হতে মোঃ হাফিজুল ইসলাম (২২), পিতা-মোঃ মোফাজ্জল হক ও তার স্ত্রী মোছাঃ সমেলা বেগম (২০)-কে আটক করে। এসময় আটককৃতদের হেফাজত থেকে ১ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আভিযানিক দলটি আসামীদের নিয়ে থানায় ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ভুরুঙ্গামারী থানাধীন ৯নং চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের পরিবারের সদস্য এবং অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি, লোহার রড,গাছের ডাল ইত্যাদি নিয়ে পুলিশের আক্রমণ চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ আসামীদের ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানার এসআই মোহাম্মদ আরিফ মাহমুদ আপেল বাদী হয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার দুই জনকে এজাহার নামীয় এবং ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৩, তারিখ ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ইং, ধারা-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) এ সরণী ১০(ক)/৪১ তৎসহ ১৮৬/৩২৩/৩৩২/৩৫৩/২২৪/২২৫/৪২৭/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অধিনায়ক, র্যাব-৭ চট্টগ্রাম বরাবর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য একটি আবেদন করেন।
র্যাব-৭ আবেদনের সূত্র ধরে গোয়েন্দা নজরধারী ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রধান আসামী মোঃ হাফিজুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন দামপাড়া এলাকা থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাত পৌণে ৯টায় গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পৃথক অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন দামপাড়া মসজিদ গলি এলাকা থেকে আসামী মোছাঃ সমেলা বেগম (২০) কে গ্রেপ্তার করে।
আসামীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা গ্রেপ্তার এড়াতে মামলা দায়ের এর পর হতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।
তাদেরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমআই