ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থান এবং সুফি মাজারগুলোর বিরুদ্ধে যে কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং হামলার নিন্দা জানিয়ে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার।
আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে একদল দুষ্কৃতকারী দেশের সুফি মাজারগুলোতে হামলা চালাচ্ছে, যা সরকারের নজরে এসেছে। অন্তর্র্বতী সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থান এবং সুফি মাজারগুলো নিয়ে যে কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং এগুলোর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
সরকার এসব হামলায় জড়িত অসাধু শক্তিগুলো আইনের আওতায় আনতে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ করছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধর্মীয় স্থান ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলো রক্ষার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সব বিশ্বাসের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি যে, আমরা সম্প্রীতির দেশ হিসেবেই থাকবো এবং ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহনশীলতা ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার যে কোনো প্রচেষ্টা কোনো বৈষম্য ছাড়াই কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার-মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় একটি মাজারে হামলা-অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এরপর ৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজারে হামলা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে একটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একইদিনে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী লাউড়ের গড় এলাকার শাহ্ আরেফিনের (রহ.)-এর আস্তানায় হামলার আশঙ্কায় গানবাজনা নিষিদ্ধ করা হয়।
এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার দুটি মাজার ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে একটি মাজারে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এর আগে ২৯ আগস্ট সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় একটি মাজারে ভাঙচুর করা হয়। তারও আগে গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ভেঙে ফেলা হয় একটি মাজার।
আ.দৈ/এআর