ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মাদক মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আদালত তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার এ আদেশ দেন। আদালতে মামলার চার্জ শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল, তবে আসামিপক্ষ থেকে সময় আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন এবং একইসঙ্গে জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সম্রাট ও আরমানের আইনজীবীরা দাবি করেন, তারা অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে আদালত তাদের অনুপস্থিতির কারণ গ্রহণ না করে বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র্যাব কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে। এরপর সম্রাটের কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। সেই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় এবং ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় তদন্ত শেষে র্যাব আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল তিনি জামিনে মুক্তি পান।
সম্প্রতি ১৬ জানুয়ারি অস্ত্র মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয় এবং তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এবার মাদক মামলায়ও তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো এবং নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত।
আ. দৈ./ সাধ