পুলিশ সদরদপ্তরের আশ্বাস পেলেও এখনও চাকরি ফেরত না পাওয়ায় বিগত সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চাকরি ফেরতের দাবিতে এখন রাজপথে। তাদের দাবি বর্তমান আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বাধ্যতামূলক অবসরে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তিত প্রেক্ষাপটে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার চাকরি করছেন। তাহলে তারা কেন চাকরি করতে পারব না?
চাকরি ফিরে পেতে আন্দোলনে নামা পুলিশ সদস্যরা এসব কথা বলেন। এই পুলিশ সদস্যরা আজ (বৃহস্পতিবার) পদযাত্রা নিয়ে সচিবালয়ের সামনে গেলে সেখানে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তাদের ৫ জন দাবি-দাওয়া নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার জন্য সচিবালয়ের ভেতরে ঢোকেন। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে তারা সচিবালয়ের ভেতরে যান।
যারা সচিবালয়ে প্রবেশ করেন— সাইফুল, সাদ্দান, মামুন, সিরাজুল হক ও শাজাহান সাজু। সচিবালয়ে ঢোকার আগে এই পাঁচজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা একটি পদযাত্রা বের করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ পরিবারের প্রায় দু হাজার সদস্য এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে তারা এই আন্দোলন করছেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া এসআই পদমর্যাদার চাকরিচ্যুত এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা তো কোনো অন্যায় করিনি। অন্যায়ভাবে আমাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরেকজন বলেন, আমরা গত ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরা যখন শুরুতে আন্দোলন করেছিলাম তখন আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি এবং আমাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছি। পরে আমরা সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের কাগজপত্র দেখেন এবং বলেন যে আমাদের দাবি যৌক্তিক এবং আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি তখন বলেছেন আন্দোলনরতদের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। উনার সে আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি। কিন্তু একে একে দিন পার হতে থাকে কিন্তু আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। তাই আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন স্থগিত করবো না।
এমআই