নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের মতপার্থক্যের মাঝেও, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন, "বিএনপির বক্তব্যের সুর অনেক সময় আওয়ামী লীগের সুরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।"
গতকাল শুক্রবার বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেন, "যদি আমি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেই, তবে সরকার থেকে সরে দাঁড়াব।"
বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই আলোচনা শুরু হয়। ফখরুল বলেন, "বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ আচরণ না করলে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন জরুরি হবে।"
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সুর নিয়ে নাহিদের পর্যবেক্ষণ
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, "বিএনপি সম্প্রতি যে 'নিরপেক্ষ সরকারের' কথা বলছে, তা অনেকটাই আওয়ামী লীগের কিছু নেতার বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।" তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, "এই সরকার অবৈধ ও অনির্বাচিত, এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।"
নাহিদ ইসলাম জানান, "এই সুর মিলিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এটি পরিকল্পিত না হলেও, এর পেছনে দেশি-বিদেশি প্রভাব কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।"
বিএনপির প্রতিক্রিয়া
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, "বিএনপি এক-এগারোর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। আমাদের নেতাকর্মীদের থেকে শুরু করে খালেদা জিয়াও সেই সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।"
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, "নিরপেক্ষ সরকারের দাবি করার অর্থ এই নয় যে, আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সরকার নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছে।"
নাহিদ ইসলাম বলেন, "নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সরকারের উচিত সব পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।"
তিনি আরও বলেন, "বিএনপি যদি প্রশাসনে নিরপেক্ষতা চায়, তবে তা স্পষ্ট করে বলা উচিত। তবে এটি নির্ধারণ করার সময় এখনো আসেনি। নির্বাচন নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা এবং দর-কষাকষির পথ খুলতে হবে।"
আ. দৈ./ সাধ