বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে অপসারণের দাবীতে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।গত ৯ সেপ্টেম্বর উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এলাকার ৪১জন সচেতন মহল এ অভিযোগটি দাখিল করেন।
অভিযোগের পর আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর ) মোড়দহ গাঁড়াবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল আলম আনছারীর দূর্নীতির ও নিয়োগ বাণিজ্য অভিযোগে অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
লিখিত অভিযোগ ও মানববন্ধনে বক্তারাদের বক্তব্যে থেকে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের মোড়দহ গাঁড়াবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল আলম আনছারীর একজন অদক্ষ, অযোগ্য, অর্থ আত্মসাতকারী, চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য ও মাদ্রাসার তহবিল তসরুফকারী।
মোড়দহ গাঁড়াবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল আলম আনছারী দীর্ঘদিন ধরে করে আসা বিভিন্ন অনিয়ম, বাৎসরিক জমি লীচ, পুকুর লীচ, বালু বিক্রয়, গাছ বিক্রয, শিক্ষকদের টিউশন ফি, পুরাতন ঘর বিক্রয় এবং অবৈধ আওয়ামীলীগ সকারের সময়ে ৮জন শিক্ষক-কর্মচরী ও সহ-সুপারকে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যসহ প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎসের সমুদয় টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে বিভিন্ন কলাকৌশলে ওলামালীগের প্রভাব খায়ে নিজের আত্মসাত করেন। কমিটির শিক্ষক/কর্মচারীদের শোকজ করে মোটা অংকের টাকা দলীয় কমিটিসহ হাতিয়ে নেয় এব শিক্ষা উপকরণ ও ছাত্র/ছাত্রীদের টয়লেট ও কমন রুম ব্যবহারের অযোগ্য করে রেখেছে যার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, মোড়দহ গাঁড়াবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল আলম আনছারীর অবৈধ পন্থায় বেইআইনি ভাবে ফাজিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। যার রোল নং-৩৪৯৩, রেজি: নং৪৫২০, শিক্ষাবর্ষ-১৯৮৫-৮৬। কামিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যার পাশের সন ১৯৯০, রোল নং১৬৮৫, রেজি:নং-০০২১৭৩। তার ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা দিন ও গয়হাট্টা বার আউলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাহার নামে স্বাক্ষর করা আছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী স্বর্ণা, সাকিবুল ইসলাম, সাখী, মুরুব্বি আব্দুল আলীম, আনোয়ার হোসেন, জিল্লার রহমান, জিল্লুর রহমান, আব্দুর সবুর সহ এলাকার শত শত জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করে।
আ. দৈ. /কাশেম/ আশরাফ