ওজন কমাতে জীবনযাপনে পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। শুধু ডায়েট মেনে খাবার খেলে কিংবা জিমে গিয়ে ক্যালরি পোড়ালে চলবে না। ওজন কমাতে চাইলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও মেনে চলতে হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেকে শুধু ডায়েট করে ওজন কমাতে চাইছেন।
আবার কেউ কেউ শুধু জিমেই ৪-৫ ঘণ্টা কাটিয়ে দিচ্ছেন মেদ গলানোর আশায়।
কিন্তু জীবনযাপনের পরিবর্তনের দিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। ওজন কমাতে গেলে ডায়েট ও এক্সারসাইজ দুটিই জরুরি। পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে।
সুস্থ থাকতে গেলে ঘুম জরুরি। ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে দেহে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। দেহে ঘ্রেলিন ও লেপটিন নামের হরমোন আমাদের কখন খিদে পেয়েছে আর কখন পেট ভর্তি রয়েছে, তার অনুভূতি করায়। যখন ঘুম ঠিকমতো হয় না তখন এই দুই হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। তাই অত্যধিক খাবার খাওয়া, মিট-নাইট ক্রেভিংও বেড়ে যায়।
সারা দিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াও প্রয়োজন। দিনের শুরুটা করুন এক গ্লাস উষ্ণ পানি খেয়ে। এ ছাড়া সারা দিন ধরে পানি, ডিটক্স ওয়াটার, তরলজাতীয় খাবার খান, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখবে। শরীর হাইড্রেট থাকলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং বিপাক ক্রিয়া সচল থাকে।
ইঁদুর দৌড়ের জীবনে স্ট্রেস বেড়েই চলেছে। স্ট্রেস থেকে বের হওয়ার যেন উপায় নেই। কিন্তু সুস্থ থাকতে গেলে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে স্ট্রেস কমাতেই হবে। অত্যধিক মানসিক চাপে থাকলে দেহে স্ট্রেস হরমোন অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃসরণ হয়। এর জেরে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে এবং ওজন বাড়ে। ওবেসিটির অন্যতম কারণই হলো স্ট্রেস। সুতরাং মানসিক চাপ কমানো ভীষণ জরুরি। যোগাসন, মেডিটেশনের মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে পারেন। প্রয়োজনে মনোবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আ. দৈ/ সাম্য