ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বৈষম্য নিরসনের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরের জামালখান এলাকায় এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সব ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বৈষম্য নিরসনের দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘যে কোটাব্যবস্থা নিরসনের জন্য আবু সাঈদ, ওয়াসিম, শান্ত, ফারুকসহ আমাদের ভাইয়েরা জীবন দিল, সেই কোটার জন্য আমরা মেধাকে অবমূল্যায়ন করে কারও স্বপ্ন বিফলে যেতে দিতে পারি না।’
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যার বায়োলজি (জীববিজ্ঞান), কেমিস্ট্রির (রসায়ন) প্রাথমিক জ্ঞান নেই, সে যখন মেডিকেলে সুযোগ পায়, তখন সে কীভাবে মেডিকেলের শিক্ষা আয়ত্ত করবে! আমরা চাই, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা নিরসনে সবাইকে সমান সুযোগ করে দিতে হবে।’
রাসেল আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্য নিরসনের যে স্বপ্নে আমাদের ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছেন, তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেলসহ সব ভর্তি পরীক্ষায় কোটাব্যবস্থা নিরসন করতে হবে। আমরা বলেছিলাম, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে আনতে।’
পোষ্য কোটার বিষয়ে রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা কোটা সংস্কারের জন্য রাজপথে নেমেছিলাম। আমার ভাইয়েরা জীবন দেয়ার পর সেটি রাষ্ট্র সংস্কারে রূপ নিয়েছে। রাষ্ট্রের সব কাঠামোকে ভেঙে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি। এ কাজটা করা দরকার ছিল সরকারের। তাহলে এখনো আবার কেন কোটা নিয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে।’ বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রামের অন্য সমন্বয়ক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের চেরাগী পাহাড় মোড় ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘যে কোটায় ভাই মরে, সে কোটা আনল কারা’ স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েও মুক্তিযোদ্ধা কোটার মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি বেশ কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এতে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এরপর গতকাল রোববার রাতে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম।
আ. দৈ/ সাম্য