আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে ১৮টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমের বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্পদ বিবরণী তলব করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন ঢাকার সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৩০ অক্টোবর সাবেক কৃষিমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
দুদক মহা পরিচালক বলেন, আজ দুদকের পক্ষ থেকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৬ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়াও তার স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৮ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৬টি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং ২২ হাজার ২৮০ ইউএস ডলার লেনদেনের অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আ. দৈ. /কাশেম