চলছিল বিয়ে অনুষ্ঠান, সঙ্গে গান বাজনা। মধ্যরাতে বক্স বন্ধ করে বরের লোকজন ঘুম থেকে উঠে স্থানীয় ইমামসহ দুজন মুসল্লীদের দেখতে পায়। এনিয়ে বাকবিতন্ডা ও স্থানীয় বাজারে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় গ্রাম্য শালিসী হয়। উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুজি হওয়ায় বৈঠকে ক্ষমা চান। তারপরেও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ১লাখ টাকা জরিমানা করায় এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে জরিমানা ও সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বইছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়ন চররান্দুনীবাড়ী আলতাফ হোসেনের পুত্র মনিরুলের চলতি বছরের (১১জানুয়ারী) শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। বিয়ের পরের দিন গান বাজিয়ে রাত ৩টার দিকে সাউন্ড বক্স বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। বাড়ীর পাশে মসজিদ ও স্থানীয়রা এগিয়ে না এসে পাশের গ্রাম ও মহল্লা থেকে মসজিদের ইমাম ও দুইজন মুসুল্লী ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিয়ে বাড়ীর লোকজন ডেকে তুলে রাতে সাউন্ড বক্স বাজানোর কারণ শুনতে চান। বাড়ী থেকে আলতাফের মেয়ে এগিয়ে আসলে অকথ্য ভাষা ও বাড়ী ঘরে আগুনি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি তাঁর বাবা আলতাফকে অবগত করলে তাঁর মেয়েসহ ইমাম আব্বাসকে ডাকতে যায়। এ সময় বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মেয়ে খুশি হাঁটুতে গুরুত্বর আঘাত পায় । পরে স্থানীয়দের মিমাংসায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিলেও আলতাফের ছেলে আরমানকে বাজার এলাকায় ডেকে ইমাম আব্বাসের নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা বসে ভুল বোঝাবুজি হওয়ায় ক্ষমা চান। পরে ইমাম আব্বাসের জন্য ১লাখ টাকা ধার্য করে রায় দেন। ক্ষমা চাওয়ার পরেও জরিমানার ঘোষনা হওয়ার পর উপস্থিত অনেকেই হতভিম্ব হয়ে পড়েন। এনিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার সুষ্ঠ বিচার পাওয়ার দাবীতে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে।
উভয়ের স্থানীয় ইউপি সদস্য সালাম ও আলমাস বলেন, বিচারের কথা শুনেছি কিন্তুু আমরা জানি না। গ্রাম্য শালিসী বৈঠকে অসুন্তষ্ট হলে ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে শরানপন্ন হতে পারে। .
আ. দৈ./ কাশেম/ নজরুল