রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে মস্কো সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। উভয় দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা জোটের দেশগুলো এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, মাসুদ পেজেশকিয়ান গত বছরের জুলাই মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং এই সফরটি তার মস্কোতে প্রথম সফর। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন উভয় নেতা। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ইরান রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ছে।
ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ২০ বছরের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, যা দেশ দুটির মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আরও বাড়াবে। যদিও এই চুক্তি পশ্চিমা বিশ্বের আরও সমালোচনা এবং রোষানল ডেকে আনতে পারে, তবে মস্কো ও তেহরান নিশ্চিত করেছে যে তাদের সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়।
মাসুদ পেজেশকিয়ানের মস্কো সফর এমন সময় হচ্ছে যখন সিরিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তন ঘটেছে, যেখানে মস্কো ও তেহরানের মিত্র বাশার আল আসাদের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব কমতে থাকায় রাশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানও দুর্বল হয়েছে। সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব কমা মানেই সেখানে রাশিয়ার প্রভাবও হ্রাস পেয়েছে, যা রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে প্রভাব কমার ইঙ্গিত।
আ. দৈ./ সাধ