মাদারীপুর সরকারি শিশু পরিবারে (এতিমখানা) নিম্নমানের খাবার দেয়া, শিশুদের জন্য সরবরাহকৃত মালামাল বিক্রি, শিক্ষক অনুপস্থিতিসহ শিশু পরিবারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে এতিম শিশুরা।রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এতিম শিশুরা এই বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের বিচারের দাবি তোলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলা শহরের খাগদি এলাকায় এতিম ও অনাথ শিশুদের জন্য একটি সরকারি শিশু পরিবার ভবন নির্মাণ করা হয়। মাদারীপুর জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের অধীনে মাদারীপুর সরকারি শিশু পরিবারে ১শ’ আসন আছে। বর্তমানে এ শিশু পরিবারে ভর্তি শিশু আছে ২৭ জন। যদিও কাগজপত্র দেখানো হয়েছে ৬০ জন। শিশু পরিবারের নিবাসীদের জন্য সপ্তাহে দু’দিন মাংসসহ প্রতিদিন খাবারের জন্য ১০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে। জামা, কাপড়, জুতা, স্যান্ডেল দেয়া হয় না।
এসময় শিশুরা অভিযোগ করে জানান, এতিমখানায় তাদের পচা মাছ, মাংস ও নষ্ট খাবার খাওয়ানো হয়ে থাকে। সপ্তাহে দু’দিন মাছ-মাংস সরবরাহ করার নিয়ম থাকলেও, তা দেয়া হয়না। নাম মাত্র মাছ সরবরাহ করা হয়। শাকসবজি দেয়ার কথা থাকলেও তা কখনোই দেন না।
শিশুরা আরও অভিযোগ করেন জানান, শিশু পরিবারে সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বিভিন্ন সময় এতিম শিশুদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করে থাকেন। তার বাসার কাজ করতে শিশুদের বাধ্য করেন। কাজ না করলে এতিম খানা থেকে শিশুদের বের করে দেয়ার হুমকি দিয়ে থাকে বলে অভিযোগও করেছে আন্দোলনকারী শিশুরা।
নানা অনিয়মের সাথে জড়িতদের পদত্যাগ ও বিচারের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিশুরা।
শিশু পরিবারে সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট। অন্যরাও তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।মাদারীপুর শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মো. সাইফুজ্জামান বলেন, খাবারে মেনু অনুযায়ী শিশুদের খাবার দেয়া হয়ে থাকে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে।
আ. দৈ. / একে/ ইমদাদুল