আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ময়মনসিংহ ১০ আসনের সাবেক এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও তার স্ত্রী শারমিন গোলন্দাজের বিরুদ্ধে
২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তাদের ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬০ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা (১,৭১,৬৪৬ ) মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক লেনদেনের লেনদেনের অভিযোগে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,গত বছরের অক্টোবর মাসে সাবেক এমপি ফাহমী গোলন্দাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে সাবেক এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও তার স্ত্রী শারমিন গোলন্দাজের বিরুদ্ধে স্থাবর- অস্থাবর মিলে জ্ঞাত আয় বহিভূত অর্থাৎ প্রায় ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৯টি ব্যাংক হিসাবে দেশে- বিদেশে লেনদেনের সুনিদিষ্ট অভিযোগের তথ্য পাওয়ার পর ২টি মামলা দায়ের হয়।
দুদক কর্মকর্তা বেলন, প্রথম মামলায় সাবেক এমপি ফাহমী গোলন্দাজের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার ৪৬০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬০ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৬ মার্কিন ডলারে অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন,দ্বিতীয় মামলায় সাবেক এমপি ফাহমী গোলন্দাজ ও তার স্ত্রী শারমিন গোলন্দাজকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় শারমিন গোলন্দাজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক আরো বলেন, সুনিদিষ্ট দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন ১৯ টি ব্যাংক হিসেবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক এমপি মো. জিল্লুল হাকিম, তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম ও ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের বিরুদ্ধে পৃথক ৩ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৯ আগস্ট সাবেক মন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। এই সংসদ সদস্য ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীল লীগের টিকিটে জয়ী হন। গত বছরের শুরুতে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রাজবাড়ীর এ সংসদ সদস্য।
জিল্লুল হাকিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। প্রথম মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৭৮ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে আসামি হয়েছেন স্ত্রী সাঈদা হাকিম। সাঈদা হাকিমের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১০৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৬টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল। জিল্লুল হাকিমের অবৈধ সম্পদে স্ত্রী ও ছেলে সম্পদশালী হয়েছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। মিতুলের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৬৭১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়।
আ. দৈ./ কাশেম