দেশে শত অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যেও গ্রাহকের বীমাদাবি সাত দিনের ভিতর মিটিয়ে দেবার রেকর্ড অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের অন্যতম লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
২০২৪ সালের এ পর্যন্ত বীমাদাবি পরিশোধে ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ২০৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কোম্পানিটি।
২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষে ৩৮০ কোটির অধিক অর্থ বীমাদাবি হিসেবে পরিশোধ করে অন্যন্য উচ্চতায় পৌছে গেছে বাংলাদেশের চতুর্থ প্রজন্মের এই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, জানান কোম্পানিটির কর্মকর্তাগন। কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহি কর্মকর্তা জনাব মো রফিকুল ইসলাম বলেন ২০২৩ সালে সোনালী ১২৪ কোটি টাকার কিছু বেশী বীমাদাবি পরিশোধ করেছিল।
২০২৪ এর শুধু ডিসেম্বরেই ৬৯ কোটি ৩৭ লক্ষ ২৭ হাজার ৫ শত ১৫ টাকার বীমাদাবি পরিশোধ করেছে কোম্পানিটি যার মধ্যে রয়েছে মৃত্যুবীমা, মেয়াদপুর্তি সুবিধা, সহযোগী বীমা ও প্রত্যাশিত সুবিধা।
আইডিআরএ'র নভেম্ভরের তথ্য অনুযায়ী ছয়টি কোম্পানি ৯৯ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বীমাদাবি পরিশোধ করেছে যার মধ্যে ৯৯.১১ শতাংশ করেছে সোনালি লাইফ। সব থেকে ভালো পারফর্মিং ৬ টি কোম্পানির মদ্ধে টাকার অংকে সব থেকে বেশী ৩৮০ কোটি টাকা বীমাদাবি পরিশোধ করেছে সোনালি।
ভোলা চরফ্যাশনের নুর-এ আলম ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আকস্মিক মৃত্যুবরন করেন।
মরহুমের স্ত্রী বিবি জান্নাত বলেন, “বীমার পুর্নদাবী ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা তিন দিনের মদ্ধে পরিশোধ করেছে সোনালী লাইফ।”
নুর-এ আলমের মতই হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সোনালী লাইফ আস্থার মূর্তপ্রতীক হয়ে উঠেছে। এগারো বছরের দীর্ঘ পথচলায় গ্রাহকসন্তুষ্টি রক্ষা করে জীবন বীমা জগতে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরী করেছে সোনালী।
লক্ষীপুরের দেলোয়ার হোসেন এ বছরের জুনে মৃত্যুবরন করেন। সোনালীতে তাঁর তিন সন্তানের সবার নামে একটি করে মোট তিনটি শিক্ষাবীমা করা ছিল।
দেলোয়ারের স্ত্রী তাসলিমা আখতার বলেন, “মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে সোনালীর প্রতিনিধিগন আমাদের এইসব দাবি বুঝিয়ে দিয়েছেন।আমার প্রতি সন্তান প্রতি মাসে ৩ হাজার ৩ শত ৩০ টাকা করে এখন বৃত্তি ভাতা হিসাবে পাচ্ছে এবং দশ বছর পর্যন্ত পাবে। মেয়াদপূর্তিতে গিয়ে সম্পুর্ন বেনেফিট ও বোনাসসহ পলিসির পুরো টাকা পাবো। আর কোনো প্রিমিয়াম আমাদেরকে নতুন করে দিতে হবে না।”
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর পরিচালক শেখ মো ড্যানিয়েল বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কাজ পরিচালনা, প্রিমিয়াম দেওয়ার সহজ পদ্ধতি, আধুনিক ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ পরিচালনা, সঠিক সময়ে বীমাদাবি পরিশোধ সহ অসংখ্য ইতিবাচক দিক রয়েছে যা সোনালীকে করেছে অনন্য ও অপ্রতিরোধ্য। সোনালী লাইফের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো গ্রাহকের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষা, এবং তার ফলে অর্জিত প্রতিষ্ঠানের উপরে গ্রাহকের সন্তুষ্টি।প্রতিটি গ্রাহকের বীমাদাবি যথাসময়ে পরিশোধ করা সোনালী লাইফের অন্যতম মূল অঙ্গীকার। বীমাদাবী পরিশোধের অসংখ্য গল্প রয়েছে যা অনুপ্রেরণার।”
তিনি বলেন, “কারো অকাল মৃত্যু তার পরিবারে নিয়ে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। কেউ বিপদে বন্ধুর মত পাশে এসে দাঁড়ালে এই অন্ধকার ঘুঁচে যায় কিছুটা হলেও। তেমনি, সোনালী লাইফের কোনো গ্রাহক যদি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারা যান সেই সংকটকালীন মুহূর্তে পাশে দাঁড়ায় সোনালী লাইফ।”
র/আ