বাগেরহাটের মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের নারকেলতলা আবাসন সংলগ্ন পাকখালী এলাকায় ৮০একরের একটি চিংড়ি মাছের ঘের এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জবর দখল করে নেযার অভিযোগ উঠেছে। মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী শেখ আঃ সালাম ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর এস,এম জিহাদুজ্জামানের যৌথ মালিকানাধীন এ মাছের ঘেরে মোটর সাইকেল যোগে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে হামলা চালিয়ে ঘেরটি জবর দখল করে নেয়।
এ সময় দখলে বাঁধা দিলে দখলকারী ক্যাডাররা চৌকিদারদের গালিগালাজ ও মারপিট করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘের থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশে অভিযোগ দেওয়া হলেও ঘেরটি ক্যাডার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়নি।
এলাকাবাসী, ভূক্তভোগী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আঃ সালাম জমির মালিকদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে নিয়মিতভাবে হারির (ইজারা) টাকা পরিশোধ করে ওই জমিতে চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করে আসছেন। এরপর ২০১৭ সালে শেখ আঃ সালাম ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর এস,এম জিহাদুজ্জামান যৌথ মালিকানায় ওই জমিতে মাছের চাষাবাদ করে আসছেন। সর্বশেষ জমির মালিকদের কাছ থেকে আগামি ২০২৭সাল পর্যন্ত ওই ঘেরের লিজ নেওয়া হয়। চলতি মৌসুমে ঘেরে চাষের জন্য ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে কয়েক দফায় কয়েক লাখাধিক টাকার বাগদা, গলদা, চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছের পোনা ছাড়া হয়।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে এ চিংড়ি ঘেরটির উপর কথিত যুবদল নাম ব্যবহারকারী একটি মহলের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে ঘেরটি জবর দখলের কয়েকবার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। সর্বশেষ প্রয়াত মোংলা পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ফকির আব্দুস সালামের ছেলে পৌর যুবদল নেতা মোঃ সুমন ফকির ও তার সহযোগী সোহাগ শেখের নেতৃত্বে যুবদল নামধারী ১৪/১৫জনের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী মোটর সাইকেলে মহড়া দিয়ে ওই ঘেরটি জবর দখল করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুমন ফকির বলেন, ওই ঘেরে তার প্রয়াত পিতা ও স্বজনদের বেশ কিছু জমি রয়েছে। তারা তাদের জমিতে ঘের করতে গিয়েছিলেন।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ের বিরোধ দেখা পুলিশের কাজ নয়।
পুলিশের (মোংলা-রামপাল) সার্কেলের এএসপি মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, এ ব্যাপারে থানায় দেয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থালে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত করে দেখছে ঘেরটি আসল মালিক কে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।
আ. দৈ/ মনিরুল ইসলাম দুলু/ সাম্য/এমআই