গাজায় যুদ্ধ বন্ধে দীর্ঘ আলোচনার পর ইসরায়েল ও হামাসকে একটি চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া দিয়েছে মধ্যস্থতাকারী কাতার। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূতের উপস্থিতিতে গত মধ্যরাতে আলোচনায় সাফল্যের পর চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া হস্তান্তর করা হয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দোহায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও শিন বেটের প্রধানরা কাতারের প্রধানমন্ত্রী স্টিভ উইটকফের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। বিদায়ী মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এতে অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা সময়টি গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছে, কাতারে ইসরায়েলি ও হামাস প্রতিনিধি উভয়ই একটি খসড়া পেয়েছে। প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যে ইসরায়েলি নেতাদের ব্রিফও করেছে। ইসরায়েল, হামাস এবং কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নিশ্চিত বা মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ইসরায়েলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস প্রস্তাবে সাড়া দিলে কয়েক দিনের মধ্যে একটি চুক্তি সই হতে পারে। আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, দোহা থেকে পাওয়া তথ্য খুবই আশাব্যঞ্জক। শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একটি চুক্তির দিকে বড় ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় কাজ করেছে। হামাসের হাতে জিম্মি ও ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে লড়াই বন্ধের নীতিতে উভয় পক্ষই কয়েক মাস ধরে মোটামুটি একমত হয়েছে।
তবে হামাস বরাবরই জোর দিয়ে বলেছে, এই চুক্তির অধীনে অবশ্যই যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ঘটাতে হবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যদিকে ইসরায়েল বলে এসেছে, হামাসকে ভেঙে না দেয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ শেষ করবে না।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, মধ্যরাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত আলোচনা চলে। মার্কিন প্রতিনিধিরা ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলকে চাপ দেন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি হামাস কর্মকর্তাদের চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য চাপ দেন।
আ. দৈ/ সাম্য