আদিলুর রহমান খান এ কথা বলেন যে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, সকল ধর্ম, ভাষা ও নৃগোষ্ঠীর মানুষ একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে পারে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। কেউ যেন নিজেকে বঞ্চিত বা সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন মনে না করে। আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এটিই বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের ৩৬ দিন তরুণরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। আমরা সেই দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করছি। এই কাজে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
আদিলুর রহমান খান এ কথা বলেন যে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার মি. ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন এবং রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ মুদিতাপাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী এবং বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা কাজগুলো এগিয়ে নিতে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের অন্তিম সৎকারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমবারের মতো একটি স্থায়ী মহাশ্মশানের জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। রাজউক ঢাকার উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরে ২৩ কাঠার প্লট বৌদ্ধ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দ করেছে। এই মহাশ্মশান ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরণ করবে।
আ. দৈ/ আফরোজা