বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য সামরিক বল প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই ঘোষণায় বিশ্বজুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নেতা কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের রাজার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর, দ্বিতীয়বারের মতো গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন ট্রাম্প। তার শপথ গ্রহণের আগে তিনি ঘোষণা দেন, গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি পিছপা হবেন না। একই দিন তার বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র গ্রিনল্যান্ড ভ্রমণে যান।
এদিকে, ডেনমার্কের রাজা ফ্রেডরিকের সঙ্গে বৈঠক করতে কোপেনহেগেনে পৌঁছেছেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেডে। প্রথমে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা এলেও পরে ডেনমার্কের রাজকীয় আদালত নিশ্চিত করেছে, বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৩ ডিসেম্বর ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, "গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত জরুরি।" এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেডে পাল্টা জবাবে বলেন, "গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় এবং কখনও হবে না। আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি, এবং তা বৃথা যেতে দেব না।"
বিশাল আয়তনের গ্রিনল্যান্ড দ্বীপটি ডেনমার্কের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ হলেও, ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা অনুযায়ী, এর মাটির নিচে রয়েছে প্রচুর খনিজ সম্পদ, যা দ্বীপটির কৌশলগত গুরুত্ব বাড়িয়েছে। ২০১৯ সালেও ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
শুধু গ্রিনল্যান্ড নয়, ট্রাম্প আরও বলেন, পানামা খাল দখলের পরিকল্পনাও তার রয়েছে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি, এবিসি, রয়টার্স, সিবিএস।
আ. দৈ./ সাধ