শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন সরকারের আমলে গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন,ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মানিলন্ডারিং অপরাধের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিগত দশম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৪ আসন থেকে আবুল কালাম আজাদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এই সুবাধে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৬ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৬৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, আবুল কালাম আজাদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ৭টি হিসাবের মাধ্যমে ২০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৮২ টাকা জমা ও ২০ কোটি ৩৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৩ টাকা উত্তোলনসহ প্রায় ৪১ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। ওই টাকা তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
আসামি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২ ও ৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী রুহুল আরা রহিমের উৎসবিহীন ৫০ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭৪ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। যার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। তার অর্জিত সম্পদের উৎসগুলো সঠিকতা বা যথার্থতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরূপনের জন্য তার প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির অনুমোদন করা হয়েছে।
আ. দৈ/ কাশেম