শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫,
৫ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার

শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
সারাদেশ
টেকনাফে অপহরণ বানিজ্য আতঙ্ক বাড়ছে
চরম আতঙ্কে কৃষক, শ্রমিক সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ বন বিভাগের সদস্যরা
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
Publish: Sunday, 5 January, 2025, 7:56 PM  (ভিজিট : 31)

কক্সবাজারের টেকনাফে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে অপহরণ বাণিজ্য। চরম আতঙ্কে রয়েছেন কৃষক, শ্রমিক সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ বন বিভাগের সদস্য সহ সাধারণ মানুষ। ডাকাতদল টার্গেট করে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রের মুখে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এতে গেলো এক বছরে দেড় শতাধিক ব্যক্তি পাহাড়ি সশস্ত্র ডাকাতদলের হাতে অপহরণের শিকার হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেলো বছরে টেকনাফ সদর, বাহারছড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কৃষক, শ্রমিক, কাঠুরিয়া, বনকর্মী, সিএনজি অটোরিকশা ও টমটম চালক, শিক্ষার্থী, পথচারী, দোকানদার ও মাছ ব্যবসায়ীসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি অপহরণের কবলে পড়ে। এদের মধ্যে অনেকে মোটা অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে আবার অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে বাড়িতে ফিরে আসেন।

অপহরণের পর মুক্তিপণ দিতে না পেরে খুনের শিকার হয়েছেন তিন বন্ধু। এমন ঘটনায় চরম আতঙ্কে আছে মানুষ। পাহাড়ি ডাকাতদল নির্মূল করতে পাহাড়ে যৌথবাহিনী ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার দাবি উঠেছে।

জাদিমুড়ার বনকর্মী জুহুর আলম বলেন, বিগত ৫ বছর বন বিভাগের কাজ করছি। আগের তুলনায় ইদানীং পাহাড়ে অপহরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তিনদিন আগে আমার ছেলেসহ ১৯ জন শ্রমিককে সশস্ত্র ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় তারা একদিন পর বাড়ি ফিরতে পেরেছে। পাহাড়ে কাজে গেলে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।

বাহারছড়ার ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও ক্ষেত-খামারসহ কাঠুরিয়া ও পানের বরজে কাজ করে। গরু চরাতে পাহাড়ের কিনারায় যায়। এই মানুষগুলো এখন অপহরণ আতঙ্কে ঠিকমতো তাদের নিত্যদিনের কাজও করতে পারছে না। এমনকি গত ৩০ ডিসেম্বর বাহারছড়ার বড় ডেইল থেকে জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পাহাড়ি সশস্ত্র ডাকাতদল তুলে নিয়ে যায়। এর আগে তার ভাই মনিরুল উল্লাহকেও পুলিশের পোশাক পরে বাড়ি থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ডাকাতদল। ডাকাতদলের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রকাশ্যে কেউ কথা বলার সাহস করে না। যদি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে তাদেরকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় এবং রাতে ধরে নিয়ে যায়।

টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান সিদ্দিকী বলেন, অপহরণ বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে পাহাড়সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান দরকার। অপহরণকারীদের আটক করে তাদের সঙ্গে কারা জড়িত এদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, অপহরণের ঘটনায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও স্থানীয় একাধিক ডাকাতকে আমরা আটক করেছি। এগুলো বন্ধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, অপহরণের ঘটনাগুলো কোন কোন পয়েন্টে হয় সেটি নির্ধারণ করে সেখানে নজরদারি বৃদ্ধি করাসহ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে বিষয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো।  তিনি আরো বলেন এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য ও সহযোগীতা পেলে এ অবস্থার দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব হবে।

আ. দৈ. /কাশেম/বিজন
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

দুদকের মামলায় বিএফআইইউয়ের সেই মাসুদ বিশ্বাস গ্রেফতার
এনসিটিবি’র সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০০ জনের নামে মামলা
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন যারা
বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত: জয়সওয়াল
বাংলাদেশে নিপীড়ন বন্ধে প্রয়োজন স্থায়ী সংস্কার: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পথে
ফরিদপুরে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতারা গন সংযোগে ব্যস্ত
দক্ষতা ও নিষ্টার পুরস্কার, দুদকের মহাপরিচালক-পরিচালক পদে পদোন্নতি
চায়না পোশাকে সয়লাব দেশ
রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে: সালাউদ্দিন
সারাদেশ- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : [email protected]
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝