শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী ৩ জানুয়ারি। তিনি ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৭ বছর বয়সে মারা যান।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মরণে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি)দিবাগত রাত ১২টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন,‘আজ আশরাফ ভাই এর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী- আমি ওনাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং মহান আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করছি ওনাকে যেন জান্নাতবাসী করেন। আশরাফ ভাই আমার আপন বড় ভাই এর থেকেও বেশি ছিলেন- তিনি ছিলেন আমার বন্ধু, আমার শুভাকাঙক্ষী- আমরা ছিলাম একই চিন্তাধারার। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আশরাফ ভাই বলেছিলেন, প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ‘আওয়ামী লীগের আমি সন্তান, আওয়ামী লীগের ঘরেই আমার জন্ম। আওয়ামী লীগ যদি ব্যথা পায়, আমিও বুকে ব্যথা পাই। আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী যদি ব্যথা পায়, আমারও অন্তরে ব্যথা লাগে। আওয়ামী লীগ তো আওয়ামী লীগই, এটা কোনো দল না, এটা আমার কাছে একটা অনুভূতির নাম।’
সোহেল তাজ ফেসবুকে পোস্টে বলেছেন, ‘আজ আমার এই উক্তিটা মনে পরলে খুব খারাপ লাগে কারণ আশরাফ ভাই এখানে যেই আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন, সেই আওয়ামী লীগকে এবং সেই আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী সমর্থকদের ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে- আশরাফ ভাই যেই আওয়ামী লীগের কথা বলছেন সেই আওয়ামী লীগ ছিল জনগণের অধিকার আদায়ের অগ্রদূত, আমাদের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী, সাড়ে সাত কোটি মানুষের আদর্শ ও চেতনার ধারক/বাহক আর আজ সেই সংগঠনকে ব্যবহার করে বিগত ১৫ বছর জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ধ্বংস করা হয়েছে, হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, দুর্নীতি ও অর্থপাচার করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করা হয়েছে আর যারা এই কাজগুলো করেছে তারা এখন বিদেশে অর্থের পাহাড়ের উপর বসে আছে অথচ আওয়ামী লীগের নিবেদিত নিরীহ কর্মী-সমর্থকরা আজকে সেই নব্য আওয়ামী লীগারদের অপকর্মের খেসারত দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, রাজনীতিতে সততা ও স্বচ্ছতার উদাহরণ রেখে যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুবারের সফল এই সাধারণ সম্পাদক। সততাও যে অনেক শক্তিশালী, সৈয়দ আশরাফের রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করলে সেই সত্যিই প্রতিভাত হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এলে মন্ত্রি সভায় এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
আ. দৈ. /কাশেম