ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে খুনী শেখ হাসিনা সরকারের পলায়নের পর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হলেও সম্প্রতি বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে জনমনে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী ভাব ধারার দুইটি বড় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক সম্প্রতি এক অপরের প্রতি আক্রমণ করে বক্তব্য ও বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশের (ন্যাপ বাংলাদেশ) চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম ও মহাসচিব নেয়াজ আহমদ খান এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই মুহুর্তে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হতে পারে এমন বক্তব্য-বিবৃতি প্রদানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ও তাদের নেতৃবৃন্দকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন। একই সাথে আগষ্ট বিপ্লবের আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের অস্তিত্বের স্বার্থে ন্যাপ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ পলাতক পঞ্চমবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর যে কোন ঐক্য বিরোধী তদপরতা পলাতক স্বৈরাচারকে রাজনীতিতে পুণর্বসনের কৌশল বলে জনগণ বিশ্বাস করে মর্মে ন্যাপ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
চলমান সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের বিরোদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন ন্যাপ বাংলাদেশের নেতৃদ্বয়। আসন্ন জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিতব্য রাজনৈতিক সংলাপের পরপরই গত ১৬ বছরে সংঘঠিত গণহত্যার বিচার ও জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রনয়নে বিবৃতিতে গুরুত্বারোপ করেছেন ন্যাপ বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দ।
ন্যাপ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ আগষ্ট বিপ্লবে নিহতদের পরিবার ও আহতদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহতদের কষ্টের কথা জানতে পেরে দেশবাসী উতকন্ঠিত ও বিচলিত।
আ. দৈ. /কাশেম