ভারতীয় মুদ্রা রুপি পৌঁছেছে তার ইতিহাসের সর্বনিম্ন দামে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রুপির এই রেকর্ড দরপতন ঘটে। টানা সাতটি লেনদেন অধিবেশনে রুপির মান কমেছে। ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়ন চলমান রয়েছে বাণিজ্য ঘাটতি ও বিদেশি পুঁজি প্রত্যাহারের কারণে।
বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ২৪২৫ রুপি, যা রুপির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে রুপি তার মান হারিয়েছে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের পর এই প্রথম আর্থিক বাজারে এতটা খারাপ পারফরম্যান্স করছে রুপি। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেন ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের শক্তি বৃদ্ধি এবং বন্ডে অধিক মুনাফা রুপির মান কমার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এই প্রান্তিকে বিদেশি অর্থ প্রত্যাহারের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ এর আগের প্রান্তিকে ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এসেছিল।
এই কারণে চলতি প্রান্তিকে ভারতে লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বর্তমান অর্থবছরের শেষে ভারতে ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ধনাত্মক লেনদেন ভারসাম্য হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে গত অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৬০ বিলিয়ন ডলার।
বাণিজ্যে লেনদেন ভারসাম্যের ঘাটতি এবং ডলারের ক্রমবর্ধমান শক্তি রুপিকে আরও দুর্বল করে তুলবে বলে মনে করছে আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংক। তারা ধারণা করছে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি ডলারের দাম ৮৬ রুপিতে পৌঁছাবে।
সূত্র: রয়টার্স
আ. দৈ./ সাধ