কাজাখস্তানের আক্তাউ শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি যাওয়ার পথে বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।
কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানায়, এমব্রায়ের ১৯০ মডেলের এই বিমানটিতে ৬২ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩০ এর অধিক মৃতের আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যার মধ্যে দুইটি শিশু রয়েছে।
বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সমুদ্রতীরে আছড়ে পড়া বিমানটি থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উঠছে এবং আহত যাত্রীরা ফিউসলাজের অবশিষ্টাংশ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের মালিকানাধীন এই বিমানটি কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম উপকূল ধরে উড়ে যাচ্ছিল। আক্তাউ বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে এটি বেশ কিছুক্ষণ চক্কর দেয় এবং তারপর তিন কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয়।
কাজাখ সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে, যারা আজারবাইজানের সঙ্গে যৌথভাবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। রাশিয়ার আকাশ পরিবহন সংস্থা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, যা বিমানটিকে জরুরি অবতরণে বাধ্য করেছিল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আলিয়েভ এ উপলক্ষে রাশিয়ায় তার পূর্বনির্ধারিত একটি সম্মেলন বাতিল করেছেন।
চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন এবং তাদের চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
আ. দৈ./ সাধ