অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু নাসের বখতিয়ারের বিরুদ্ধে স্বার্থনেসি ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে নানা কুচ্ছা ও মিথ্যা রটাচ্ছে। পদোন্নতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কতিপয় ব্যক্তি মিলে ব্যাংকের মধ্যে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। যা ব্যাংকের কাজকে বাধাগ্রস্থ করতে এমটাই করছেন বলে জানান ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে আবু নাসের বখতিয়ারকে নিয়োগ দেন। ব্যাংকের সুশাসন ফিরাতে তিনি ব্যাপক পরিশ্রম করেছে যাচ্ছেন। অথচো একটি স্বার্থনেসি ব্যক্তিরা তার কাজকে বাধাগ্রস্থ করতে তার বিরুদ্ধে নানা ধরণের কুচ্ছা ও মিথ্যা কথা রটাচ্ছে।
অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে সোমবার বিকেল থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কতিপয় ব্যাংকের কিছু দালাল কর্মকর্তা ও কর্মকারীরা।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু নাসের বখতিয়ার মুঠোফোনে জানান, পরিচালনা পর্ষদেও মির্টিং চলাকালীল অবস্থায়, আমি মিছিল শুনতে পাই। তারা পদোন্নতি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে করতে ব্যাংকের দিকে আসছে। পরে আমি দ্রুত মিটিং বন্ধ করে বের হই এবং তাদেকে শান্ত হতে বলি। তাদেরকে বুঝানোর চেষ্ঠা করি। এবং বলি যে এভাবে মিছিল করে পদোন্নতি পাওয়া যায় না। তোমাদের নেতা কে ? তাকে নিয়ে আসেন। আমরা তাদের সাথে বলে অলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।
তিনি বলেন, এরা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলো হতে সুবিধা নিতে না পেয়ে এমন কাজ করে তারা। শুধুমাত্র চেয়ারম্যান এবং এমডিদের বিদায় দেওয়ার হুমতক যেনো নতুন নয়। এভাবে একজনকে বিদায় করে পরে নতুন চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি মহল ইন্ধনে এগুলো করানো হচ্ছে। তাদেরকে আমি ভালো করেই চিনি। তারা এক সময় আওয়ামী লীগ করতো। এখন তারা আবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু সুবিধাভোগী লোক কর্মচারীদেরকে উস্কানি দিয়ে মিছিলে নিয়ে আসছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকারের পতন: দেশের পুলিশ, সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্বৈরাচারের সরাসরি সহযোগীদের বিদায় হলেও এখনো ব্যাংক ও আর্থিক সেক্টরের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের দোষর এখনো রয়ে গেছে। এই সুবিধাবাদিরা টাকা পাচার করে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে ।
আ. দৈ/ আফরোজা