আদালতে মামলা করতে এসে ফিরে গেছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আদালতে দেরী করে পৌঁছানোর কারণে মামলা করতে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার )৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া আদালত চত্ত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান হিরো আলম। তবে আগামী রোববার মামলা দায়ের করবেন বলেছেন।
হিরো আলম বলেন, আমি ২০১৮ সালে কাহালু- নন্দীগ্রাম আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম। কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গেলে আমার উপরে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্দেশে হামলা হয়েছিল। আমাকে তারা হত্যার চেষ্টা করেছিল।
এছাড়া ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে আমি জয়ী হলেও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, ইউএনওসহ অনেকে মিলে আমাকে হারিয়ে দেন। আমার সাথে তারা ফলাফল নিয়ে কারচুপি করেছে। কারণ জিতলে তাদের আমাকে স্যার ডাকতে হবে। আর তারা বার বার আমার মনোনয়ন বাতিল করেও আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতি করেছে। এতে মুটামুটি দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশ এখন স্বাধীন হয়েছে। আমরা মুক্তভাবে কথা বলতে পারছি। এখনও যদি মামলা করে সুষ্ঠু বিচার না পাই তাহলে স্বাধীন হয়ে কি লাভ হলো। তাই আমি আশা করি দেশ যেহেতু স্বাধীন হয়েছে আমি সুবিচার পাবো। আর আমি যদি সুবিচার পাই তাহলে যারা এর আগে বিচার পায়নি তারাও মামলা করতে সাহস পাবে।
হিরো আলমের মামলার খসরায় ৩৩জনের নাম উল্লেখ করেছেন। এতে প্রথমেই নাম রয়েছে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। এরপর রয়েছেন বগুড়া -৪ আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিম তানসেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন রানা, বগুড়ার সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, নন্দীগ্রামের সাবেক ইউএনও শিফা নুসরাত, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্না৷ এছাড়া বাকি যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা নন্দীগ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
আ. দৈ. /কাশেম/মিজান