বিএনপি'র আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, তার
নাম ভাঙ্গিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ নানা অপকর্ম চলছে। তিনি এসব জগন্যতম অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনে সমর্থন রয়েছে এমন ঈঙ্গিত থাকার বিষয়ে গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রকাশিত প্রতেবেদনের মধ্যে বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে জোরপূর্বক স্বপদে পুনর্বহালের পেছনে তার ইন্ধন রয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে।
কারণ ডিএসসিসিতে টানা ১৫ বছর যাবৎ অমানবিক নির্যাতিত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা ও কর্মীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে ছিলেন বির্তকিত (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান। অথচ ডিএসসিসির শ্রমিক দলের ওই প্রতিবাদী নেতারাই আবার উপস্থিত থেকে প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে নগর ভবনে তার চেয়ারে বসিয়েছেন। আর এই অপকর্মটি সংঘটিত হয়েছে গোপীবাগের লিটুর নেতৃত্বে । অনেকের মুখে শোনা যায় শাজাহানপুরের আরেক সিনিয়র ও বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা এবং গোপীবাগের তরুন নেতা সাবেক মেয়রের ছেলের নির্দেশনার আলোকে লিটুর নেতৃত্বে প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে পুনরায় নগরভবনে ঢুকানো হয়েছে।
ফলে এখন প্রশ্ন উঠেছে, কথিত চাঁদাবাজ ডিএসসিসির শ্রমিক দলের কথিত নেতা গোপীবাগের লিটুগং দের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে কেনো আইনী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের আগে তো বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তা না করে শুধু প্রশাসনের ওপর কেনো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, 'আমার নাম ভাঙ্গিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে যারা চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ নানা অপকর্ম করছে আসছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।'
গণমাধ্যমকে দেওয়া এই বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে নানাভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একটি গোষ্ঠি বা কতিপয় দুর্বৃত্ত আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিভিন্ন মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি ও নগর ভবনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে। এমনকি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে জোরপূর্বক পুনরায় বসানোর পেছনে আমার ইন্ধন রয়েছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে আসছে। এ বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এ ধরনের অপকর্মে আমার ন্যূনতম কোন সম্পৃক্ততা নেই।
আমার না ভাঙ্গিয়ে একটি চক্র এহেন অপ্রচার চালাচ্ছে। যারা আমার নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে, আমি তাদেরকে চিনি না। পাশাপাশি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজিসহ যারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসনকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। বিএনপির নাম পরিচয় দিয়ে কোন নেতা-কর্মীর এসব কর্মকাণ্ড জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের বিষয়টি অবহিত করায় প্রকৌশলী ইশরাক গণমাধ্যমকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান।
আ. দৈ. /কাশেম