মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেওয়ার হুমকির কড়া জবাব দিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। ট্রাম্পের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে মুলিনো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, পানামা খাল সম্পূর্ণভাবে পানামার মালিকানাধীন এবং সেটি পানামার অধীনেই থাকবে।
গত শনিবার ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে অভিযোগ করেন, পানামা মার্কিন জাহাজ ও বাণিজ্যের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে এবং চ্যানেল ব্যবহারের জন্য অত্যধিক মাশুল নিচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন, পানামা খালের ওপর চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ। তাঁর মতে, এই জলপথ শুধু পানামার ব্যবস্থাপনার জন্য ছিল, চীন বা অন্য কোনো দেশের নয়।
এর জবাবে গতকাল রবিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট মুলিনো বলেন, "পানামা খাল ও তার প্রতিটি বর্গমিটার এলাকা আমাদেরই, এবং এটি পানামার অধীনেই থাকবে।" যদিও তিনি সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি।
পানামা খাল আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করা একটি কৃত্রিম জলপথ। ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খাল পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব থেকে পশ্চিম উপকূলে পণ্য পরিবহনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। খালটি নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা ছিল এবং দীর্ঘ সময় এর নিয়ন্ত্রণও ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। পরে ১৯৯৯ সালে এটি পুরোপুরি পানামার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পানামা খাল নিয়ে নতুন করে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চীনের প্রভাব। তবে পানামা সরকার ট্রাম্পের বক্তব্য সরাসরি অস্বীকার করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এই খাল এবং এর পরিচালনা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
আ. দৈ./ সাধ