পাহাড়ে শান্তি নিকেতন হিসেবে পরিচিত ও ১৩টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাদের শিক্ষা প্রসারের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান মোনঘর। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ বছরে পা দিয়েছে। আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে নানা অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হয়। নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় রূপে নেয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চুক্তি দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ের মানুষ বদ্ধ পরিবেশে জীবনযাপন করছে। যা কোনোভাবেই কাম্য না। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সংগ্রামে মনোঘর শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অন্য বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘ ৫০ বছরে প্রতিষ্ঠানটি পাহাড়ে অন্যতম বিদ্যাপিঠ হিসেবে পরিণত হয়েছে। পিছিয়ে থাকা এ অঞ্চলের হতো দরিদ্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পরেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরও এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন বক্তারা।
১৯৭৪ সালে রাঙ্গামাটি শহরের অদুরে রাঙ্গাপানি এলাকায় চার একর জমিতে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের কয়েকজন শিয্য বিমল তিয্যে ভিক্ষু, প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু ও শ্রদ্ধালংকার ভিক্ষুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে তোরা হয় মোনঘর শিশু সদন। এই প্রতিষ্ঠানের সুবর্ণ জয়ন্তীতে দুই দিন ব্যাপি নানা অনুষ্ঠান মালা আয়োজন করা হয়েছে।
আ.দৈ/ আফরোজা