সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫,
২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
ই-পেপার

সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
জাতীয়
জনগণকে কাল্পনিক গল্প শোনানো হতো: শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি
বাসস
Publish: Thursday, 19 December, 2024, 6:42 PM  (ভিজিট : 127)

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে অর্জন ছিলো তা অতিরঞ্জিত বলে মনে করে গত ১৬ বছরের দুঃশাসনের সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।

পরিসংখ্যানগত দিক থেকে ব্যতিক্রমী হলেও তা ছিল এক অলীক বিষয়। এ সময় জনগণকে এক ধাঁধার মধ্যে ফেলে ‘উচ্চতর প্রবৃদ্ধি’র কাল্পনিক গল্প শোনানো হয়। পরিসংখ্যান জালিয়াতির প্রচুর আলামত পেয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।

বাসসের খবরে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সমপর্যায়ের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিলো বেশি। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি মনে করে, রাজনৈতিকভাবে বাহাবা পাওয়ার জন্য জিডিপির হার ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে যা, বাস্তবতার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তথ্য-উপাত্ত নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখা হলে বোঝা যায়, এই পরিসংখ্যান ভুল।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের সঙ্গে প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান মেলে না, এই অভিযোগ অর্থনীতিবিদরা অনেক দিন ধরেই করে আসছিলেন। অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মীরা প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ফলে এই উচ্চহারের প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনীতির পরিস্থিতি নিরূপণ এবং গত ১৬ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি গত ১ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে। সেখানে প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে এসব কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে শ্বেতপত্র কমিটি উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করেছে। তারা বলেছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার তৃতীয় পক্ষের স্বাধীন পর্যালোচনা ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারিভাবে সংগৃহীত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই কেবল তা করা হয়েছে। শুধু সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে দেখা গেছে, দুঃসময় বা দুর্যোগের সময়ও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল অত্যন্ত চাঙা।

আর্থিকখাতের পরিসংখ্যান কারসাজির বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা র‌্যাপিড’র চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু জাতীয় আয়, মূল্যস্ফীতিসহ আর্থিকখাতের যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তার হিসাব নিয়ে আগে থেকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। রাজনৈতিক স্বার্থে পরিসংখ্যান কারসাজি করা হয়েছে এবং ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলা হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি এই কারসাজি চমৎকারভাবে উন্মোচন করেছে।

তিনি বলেন, উন্নয়নের যে গল্প শোনানো হয়েছে, তাও বাস্তবিক ছিল না। সেটি ছিল অলীক। এখন থেকে যেন প্রকৃত পরিসংখ্যান পাওয়া যায় সরকারকে সেই পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনের ভাষ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নিরূপণের বিভিন্ন মডেল আছে, যেসব মডেলে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের মধ্যে তাত্ত্বিক সম্পর্ক থাকে যেমন- শ্রম, পুঁজি, উৎপাদনশীলতা। কিন্তু এসব প্রথাগত মডেলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির উচ্চহার ব্যাখ্যা করা যায় না। ফলে শ্বেতপত্র কমিটি মনে করছে, এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত পক্ষপাত ছিলো।

আ. দৈ/ আফরোজা 

আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারি চাকুরিজীবীদের কাজে ফাঁকি দেয়ার সযোগ নেই: দুদক চেয়ারম্যান
জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিলের আল্টিমেটাম
সেই আনিসার পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই
হারুন-বিপ্লবসহ পলাতক ৪০ পুলিশের পদক প্রত্যাহার
‘নাটক কম করো পিও’, তিশার উদ্দেশে বললেন শাওন
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

আটলা গ্রামের তরুণ যুবকদের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
পানির দাবিতে পল্লবীতে কালশী রাস্তা অবরোধ বিহারী ক্যাম্পবাসীর
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কমিটি, আহ্বায়ক- কিবরিয়া, সদস্য সচিব- ইমরান
অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন জি কে শামীম
আবাসিক হোটেলে প্রেমিকের সঙ্গে রিয়া মনি, ভিডিও ফাঁস করলেন হিরো আলম
জাতীয়- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝