চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী।
একই সঙ্গে উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত ১১ ডিসেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে আবেদন করেন বাবর।
বাবরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির তখন যুক্তি দিয়েছিলেন, রাজনৈতিক কারণে বাবরকে মিথ্যাভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বাবরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রসিকিউশন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ বা বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ তথ্য জানান।
মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর ২৩তম দিনের শুনানি চলাকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চে বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে শিশির মনির একথা বলেন।
গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়।
নিম্ন আদালত কোনো মামলায় কোনো ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিলে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে যুক্তিতর্ক শুনানির মাধ্যমে হাইকোর্ট রায় যাচাই করে দেখেন। রায় দেওয়ার পর মামলার নথি ও রায় নিম্ন আদালত থেকে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে পৌঁছায়।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের দায়ে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আ. দৈ/ আফরোজা