ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি সিরিয়ার দখলকৃত হারমন পর্বতে সফর করেছেন এবং সেখান থেকে ভাষণ দিয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী সম্প্রতি সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম ও সীমান্তবর্তী বাফার জোন দখল করার পর নেতানিয়াহুর এই সফর ঘটে।
ভাষণে নেতানিয়াহু এই অঞ্চলকে 'গুরুত্বপূর্ণ' বলে অভিহিত করে ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, "দামেস্কের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী এখানে অবস্থান করবে।"
পর্বতের চূড়া থেকে তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, ৫৩ বছর আগে সৈনিক হিসেবে তিনিও এই স্থানে অবস্থান করেছিলেন। তিনি বলেন, "জায়গা বদলায়নি, তবে আমাদের নিরাপত্তার জন্য এর গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।"
নেতানিয়াহুর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. হারজি হালেভি এবং অন্যান্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে দেখা যায়, বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। চলতি মাসের শুরুর দিকে আসাদ সরকারের পতনের সুযোগে ইসরায়েল সীমান্তবর্তী বাফার জোন এবং হারমন পর্বতের সিরীয় অংশ দখলে নেয়। এরপর দক্ষিণ সিরিয়ার আরও তিনটি গ্রাম দখল করে ইসরায়েলি বাহিনী।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘ এবং বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে 'আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন' বলে নিন্দা জানিয়েছে।
বাশার আল-আসাদ প্রায় ২৫ বছর ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। তবে চলতি মাসে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) যোদ্ধারা দ্রুত অভিযান চালিয়ে দামেস্কসহ সিরিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদ রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। এ সুযোগে ১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করে।
আ. দৈ./ সাধ