কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেছেন স্ত্রী। আহত স্বামীকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও অবস্থার অবনতি দেখে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত ব্যক্তির নাম মো.মঈনুদ্দিন। তিনি ভোটহাট গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তিনি সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মঈনুদ্দিনের পরিবার জানান, প্রায় চার বছর আগে মঈনুদ্দিনের সঙ্গে পাথরডুবী ইউনিয়নের তালুক মশালডাঙা গ্রামের উমর আলীর মেয়ে সোমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর আর্থিক উন্নতির আশায় সিঙ্গাপুর চলে যায় মঈনুদ্দিন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার বিশ্বাস ভেঙে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সোমা। পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে বুঝিয়েও সোমাকে ফেরাতে পারেনি। পরে গত ৪ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন মঈনুদ্দিন। দেশে আসার পর এসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়।
শনিবার (১৪ই ডিসেম্বর) রাতে স্বামী-স্ত্রী মিলে সোমার বড় বোনের বাড়ি (বাগভান্ডার গ্রামে) দাওয়াত খেতে যান। বোনের বাড়িতে গিয়েও স্বামীর সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান সোমা। তর্কের এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সে সময় নতুন ব্লেড দিয়ে তার স্বামীর গলা কেটে দেয় স্ত্রী সোমা । পরে মুমূর্ষু অবস্থায় পরিবারের লোকজন মঈনুদ্দিনকে উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আ. দৈ/ আফরোজা