দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ইংলিশ ক্রিকেটের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ হচ্ছে সাকিব আল হাসানের বোলিং। বার্মিংহ্যামের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ১৫ ডিগ্রির বেশি কনুই বাঁকানোয় এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সাকিবকে। সেটি থেকে মুক্ত হতে সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে আবারও পরীক্ষায় বসতে হবে।
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের ডোমিনো ইফেক্ট আরও বড়। আইসিসির নিয়ম বলছে,
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও পড়বে এর ধাক্কা। বাংলাদেশের জার্সিতেও বোলিং করার ক্ষেত্রে সাকিব আল হাসান পড়বেন বাধার মুখে। আইসিসি রেগুলেশন্স ফর দ্য রিভিউ অব বোলার্স রিপোর্টেড উইথ সাসপেক্ট ইলিগ্যাল বোলিং অ্যাকশনস’ আইনে আটকে যাচ্ছেন সাকিব।
আইনের ১১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘একটি জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি কোনো বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণ-বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’
একই অনুচ্ছেদের শেষদিকে বলা আছে , অতিরিক্ত কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া সব জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন এবং তাদের অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। আইসিসি এবং জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলো সিদ্ধান্ত আরোপ ও কার্যকরের জন্য সব পদক্ষেপ বিধিসম্মতভাবে নেবে।’
অবশ্য আশার কথা, সাকিব ঘরোয়া আয়োজনে খেলতে পারবেন, সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকছে না। নীতিমালার ১১.৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ‘১১.১ ও ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে সাসপেন্ড হওয়া সত্ত্বেও খেলোয়াড়কে নিজ দেশের জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন নির্দিষ্ট সীমারেখা বজায় রেখে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বোলিং চালিয়ে যেতে অনুমতি দিতে পারবে।’ তিন সংস্করনের ক্রিকেটে ৪৪৭টি ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত ৭১২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
আ.দৈ/ এমএমএস