ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সংকটের মধ্যেও ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ত্রাণবাহী গাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, নিহত নিরাপত্তাকর্মীদের মরদেহ মর্গে স্তূপাকারে রাখা হয়েছে।
গাজার খাদ্য সংকট ও উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রমে হামলার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে গত রোববার গাজার রাফায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ওই হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হন।
বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিম গাজার একটি আবাসিক ভবনে আলাদা একটি হামলায় শিশুসহ ৬ জন নিহত হন। একই দিনে কেন্দ্রীয় গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় প্রাণ হারান আরও ১৩ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৪৪,৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০৬,২৫৭ জন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি হামলার মুখে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনায় চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানান, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রম পাঁচটি কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই কারণগুলো হলো—ইসরাইলি অবরোধ, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের বাধা, ত্রাণ সরবরাহ কমাতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, ত্রাণ পরিবহন পথের নিরাপত্তাহীনতা এবং স্থানীয় পুলিশের ওপর হামলা।
গাজার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠছে, যেখানে প্রতিনিয়ত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আল-জাজিরার বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আ. দৈ./সাধ