মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৮৮৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি। এ বাজেটটি সম্প্রতি রাশিয়া অনুমোদিত ১২৬ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেটের তুলনায় ৭ গুণ বেশি।
এই বাজেট এখন সিনেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদনের পর এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে। এর আগে বাজেটের খসড়া নিয়ে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সদস্যদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হয়। উভয় কক্ষে সম্মত হওয়া খসড়াগুলো সাধারণত দ্রুত অনুমোদিত হয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণ প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পর, ৩ ডিসেম্বর অনুমোদিত এ বাজেটে জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য ১২৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি রাশিয়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ বাজেটের চেয়ে প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার (তিন ট্রিলিয়ন রুবল) বেশি। রাশিয়া গত দুই বছরে তার সামরিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে ২১ শতাংশে উন্নীত করেছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাত হিসেবে পরিচিত। রাশিয়া ইতিমধ্যেই ফ্রন্ট লাইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে এবং কুরস্ক অঞ্চলে পাল্টা হামলার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের সরঞ্জাম ও জনবল উভয় ক্ষেত্রেই পিছিয়ে রয়েছে। তবে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেলেও তা যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে, যা রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ইউক্রেনকে নতুন সামরিক সরঞ্জামও পাঠিয়েছে।
আ. দৈ./সাধ