র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর ১৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব মাঠে নামে। তবে, এ প্রক্রিয়ায় র্যাবের ১৬ জন সদস্য চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা এবং ৪ হাজার ২৪৬ জন সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়। এর মধ্যে আনসার বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহ, গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতির মতো ঘটনাগুলো উল্লেখযোগ্য। এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, "আমি যতদিন দায়িত্বে থাকব, ততদিন র্যাব গুম বা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত হবে না, এ বিষয়ে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।"