লক্ষ্মীপুরে এক সময়কার সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দিয়েছিলো দেশব্যাপী তুমুল আলোচনার জন্ম। অন্তত ২০ থেকে ২৫টি ছোটবড় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠে এ জেলায়। প্রতিটি বাহিনীতে ছিল ৫০ থেকে ৩০০ সদস্য। যাদের অধিকাংশ ছিলো কিশোর, তরুণ ও যুবক বয়েসী। সম্প্রতি আওয়ামী সরকারের পতনের পর ঘটছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পটপরিবর্তন। অযথা আড্ডা বা দলবেঁধে না থেকে খেলাধুলায় ফিরতে শুরু করেছে লক্ষ্মীপুরের তারুরা।
ক্রিকেট, ফুটবলসহ দেশি-বিদেশি খেলায় বেড়েছে আগ্রহ। জেলার পাঁচ উপজেলায় গড়ে উঠেছে অন্তত এক শতাধিক ফুটবল দল ও আটটি সমন্বিত ফুটবল ক্লাব। বারো থেকে ২১ বছর বয়সী খেলোয়াড়রা এসব দল-ক্লাবের হয়ে নিয়মিত অনুশীলন ও খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন'র (বাফুফে) সহ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আরো মুখরিত হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের ফুটবল আঙ্গিনা। জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি এবং কমলনগরে নিয়মিত ক্লাব ভিত্তিক ফুটবল খেলোয়াড়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ১শ জন ছাড়িয়েছে। অনিয়মিতসহ মোট খেলোয়াড়ের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে রায়পুর সরকারি মার্চেন্টস একাডেমি, নবীন কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়, আর্দশ সামাদসহ প্রায় ২০ টি মাঠে চলে ফুটবল অনুশীলন কার্যক্রম। তরুণদের খেলাধুলায় ফেরাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলেও চোখে পড়ার মতো একটি ঘাটতি রয়েছে। হাতে গোনা ৮-১০ টি দল ছাড়া বাকি কারো নেই কোচ। এতে মনোবল হারাচ্ছে খেলা প্রেমী তারুণ্য।
নিয়মিত অনুশীলন করা স্থানীয় ফুটবলার তাসিন নূর ওয়াফি বলেন, আমরা নিজেরা অনুশীলন করছি। নিয়মিত চেষ্টা চালাচ্ছি। কোচ না থাকায় আগ্রহ ধরে রাখতে এবং নতুন কিছু শিখতে পারছি না।
জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, অনূর্ধ্ব ১৫ ফুটবল দলের জন্য ১১৩ জন খেলোয়াড়কে প্রাথমিক বাছাই করা হয়েছে। কোচ নিয়োগসহ ফুটবল আনুষাঙ্গিক বিষয় পরিকল্পনায় রয়েছে।
আ. দৈনিক/ কাশেম/জিহাদ