উটের কুঁজ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচলিত একটি ধারণা হলো—এর ভেতর পানি জমা থাকে। তবে বিজ্ঞান এই ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করেছে।
উটকে বলা হয় মরুভূমির জাহাজ। তপ্ত বালির সমুদ্রে এদের দৃষ্টিনন্দন চলাফেরা আর টিকে থাকার ক্ষমতা একে অনন্য করে তুলেছে।
আসলে উটের কুঁজে পানি নয়, চর্বি জমা থাকে। এই চর্বি তাদের জন্য একটি শক্তির ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে।
দীর্ঘদিন খাবার বা পানি ছাড়া মরুভূমির কঠিন পরিবেশে টিকে থাকতে উট এই চর্বি ব্যবহার করে।
যখন খাবার বা পানির অভাব হয়, উট তার কুঁজের চর্বি ভেঙে শক্তি উৎপন্ন করে এবং কিছুটা পানি তৈরি করে।
চর্বি ভেঙে শক্তি উৎপন্নের সময় এক ধরনের রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পানি তৈরি হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম চর্বি থেকে প্রায় ১ গ্রাম পানি তৈরি হতে পারে।
এটি উটের শরীরের জন্য পর্যাপ্ত নয়, কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য কার্যকর। উটের শরীরে পানি সংরক্ষণের চমৎকার কৌশল রয়েছে।
এরা একবারে ১০০ লিটারের মতো পানি পান করতে পারে এবং সেই পানি তাদের শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে ধরে রাখে।
তবে সেটা তাদের পেটে ধরে রাখে, কুঁজে নয়।
তাছাড়া, উটের নাকের ভেতর থাকা বিশেষ গঠন পানি বাষ্পীভবন ঠেকায়। শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও উট সহজে ঘামায় না। এতে পানি অপচয় কম হয়।
আ. দৈ/ সাম্য