লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছে রায়পুর পৌরসভা কমিটি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান খান পালন করছেন পৌরসভা প্রশাসকসহ এক সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দায়িত্ব। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে আছেন বিপাকে। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন কমিটিতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এতো সব দায়িত্বের মাঝে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি পৌর সভায় উন্নয়ন, তথ্যসেবা, বৃহৎ জনগোষ্টির স্বার্থ রক্ষায় মাঠ পর্যায়ের কাজকর্ম বা জনসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ, ব্যহত হচ্ছে বহুল কাঙ্খিত নাগরিক সেবা।
রায়পুর পৌরসভা পরিচালনায় দায়িত্ব নেয়ার শুরুতেই ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেন ইমরান খান। কমিটির সবাই সরকারি চাকুরীজীবি হওয়ায় নিজ নিজ দপ্তর নিয়ে থাকতে হয় ব্যস্ত। ফলে যথাযথ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। সাকিব নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, পৌর শহরে অনেক জ্যাম। ট্রাফিক পুলিশ বক্স দরকার। নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন।
রায়পুর নতুন বাজার, পীর ফয়েজ উল্লাহ সড়ক এলাকায় পৌরসভার বেশ কয়েকটি সড়ক বাতি নষ্ট দীর্ঘদিন যাবত। সেসব সংস্কারেও নেই কোনো উদ্যোগ। অতিরিক্ত দায়িত্বের কারণে নাগরিক সেবাকে থোড়াই কেয়ার করছেন পৌর প্রশাসক মোঃ ইমরান খান উঠেছে এমন অভিযোগ। বাসিন্দারা বলছেন, পৌরসভার সেবার মান কমেছে। একাধিক দায়িত্বের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর কমিটি হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিরা জানায়, বিভিন্ন স্থানে জমে আছে ময়লার স্তুপ। ময়লা না নেওয়ায় পৌর শহরের কুরি বাড়ি পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। দুর্গন্ধের দরুন নাক চেপে যাতায়াত করতে হয় দৈনিক ২০ হাজার মানুষকে।
এ বিষয়ে পৌরসভা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান খান বলেন, সরকার দায়িত্ব দিয়েছে। যথাযথভাবে পালনে, নাগরিক সমস্যা সমাধানে আমরা সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করছি।
আ. দৈ. / কাশেম / জিহাদ