বন্যার্তদের সহায়তায় গঠিত বিএনপির ত্রাণ তহবিলে গত পাঁচদিনে নগদ আড়াই কোটি টাকাসহ প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ত্রাণসামগ্রী জমা পড়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবিরসহ অনেকে।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় বিএনপির ত্রাণ তহবিলে দলের
নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ত্রাণ সহায়তা
কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গত ১০
দিন ধরে ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যার পানি এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে, ফলে বন্যাকবলিত এলাকায় রোগবালাই বেড়ে যাবে। সেজন্য আমাদের চিকিৎসকরা এবং বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিগুলো ওইসব এলাকায় ওষুধ বিতরণ করছে। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এবং ড্যাবের চিকিৎসকরা ওষুধ ক্রয় করে সরবরাহ করছে।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যা উপদ্রুত মানুষদের সাহায্যার্থে শুকনো খাবার, শিশুদের কাপড়, মানুষের ব্যবহৃত কাপড়, মোমবাতি, দিয়াশলাই, বিশুদ্ধ পানি সর্বস্তরের জনগণ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। রিকশাওয়ালা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ বিএনপির ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক ত্রাণ সহায়তা তদারকি করছেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, দলের অঙ্গসংগঠনের নেতারা বন্যাদুর্গত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
আ.দৈ/এআর