দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সাথে উত্তর-পশ্চিম থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসের কারণে অনুভূত হচ্ছে হাড় কাপানো শীত। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমছে ঠান্ডার অনুভূতি। বিশেষ করে রাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত হালকা কুয়াশায় ছেয়ে থাকছে অঞ্চলটি। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। তবে সূর্যদয়ের পর থেকে কমতে থাকে শীত। সকাল থেকে ঝলমলে রোদ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এর আগে ভোর ৬ টায় ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬-৮কিলোমিটার। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭%।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা না থাকলেও হিমালয় থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসে ভোগান্তিতে পড়েছেন পঞ্চগড়ের খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও গরিব অসহায় মানুষ। এ ছাড়া হাসপাতালে বেড়েছে রোগীদের আনাগোনা। শীতের তীব্রতা বাড়ায় জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকাবাসী। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই হলেন শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবলমাত্র হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন,সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি। গতকাল দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ) রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
আ. দৈ./ আফরোজা