গত জুলাই ও আগস্টে ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী অন্দোলনে ক্ষমতাচ্যূত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দোসর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম পালালেও তাদের সহযোগি চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও কোটি কোটি টাকা লোপাটকারী কতিপয় কর্মকর্তাহ দাপট এখনো রয়েছে।
এই দুর্নীতিবাজরা গোপনে সংঘটিত হচ্ছেন। নানা কৌশলে ডিএনসিসির কোটি কোটি টাকা লোপটকারী ঠিকাদাররাই দাপটের সাথে নতুন করে কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে কালো তালিকা ভুক্ত করার পরিবর্তে কথিত অভিজ্ঞতার অজুহাতে পুরনো ঠিকাদারদেরকেই নতুন করে কাজ দেয়ার ফন্দিফিকির চলছে।
জানা যায়, নতুন প্রশাসন এখনো ডিএনসিসির কোটি কোটি টাকা লোপটের সাথে জড়িত সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের সিন্ডিকেট এবং তার তৎকালীন পিএস. এপিএস এবং বিভিন্ন বিভাগের কতিপয় প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও লোপাটের ঘটনাগুলো তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হচ্য়ছে না। তবে বেশ কয়জনকে শুধুমাত্র বদলি করা হয়েছে। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ এবং অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এদিকে রোববার (২৪ নভেম্বর) দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণসহ নানা অভিযোগ প্রশাসকের দপ্তরে লিখিতভাবে দাখিল করেছেন, জাতীয়তবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (ডিএনসিসি) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন।
তারা এই প্রতিনিধিকে বলেন, ডিএনসিসিতে পতিত স্বৈরাচার আওমালীগ সরকারের সহযোগি ও সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের সিন্ডিকেটের সদস্য এপিএস ফরিদ, মোরশেদ গং দের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মাল্টি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগসহ বিভিন্ন ঠিকাদারী কার্যক্রম চলমান আছে এবং নিয়মিত বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।
এছাড়াও মাইশা কনষ্ট্রাকশন নামে স্বৈরশাসকের দোসর অপ্রতিরোধ্য ঠিকাদার বর্তমানে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা বৈষম্য বিরোধে আন্দোলনে নিহত ও আহতের সাথে বিশ্বাসঘকতার শামিল।
তারা আরো বলেন,এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে আওয়ামীপন্থী ঠিকাদার নতুন করে কাজ পাচ্ছে এবং পুরাতন কাজ যথাযথভাবে শেষ না করেই বিল নিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মকান্ডে কর্পোরেশনের কিছু দূর্নীতিবাজ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা জড়িত, যা তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে।
ফ্যাসীবাদী সরকারের দোসর ঠিকাদার কে বর্তমানে নতুন কাজ থেকে বাদ দেয়ার লক্ষ্যে পিপিআর এর অভিজ্ঞতার বিষয়টি তুলে দেয়ার মাধ্যমে নতুন ঠিকাদারকে কাজ করার সুযোগ দেয়া উচিৎ। বর্তমান সরকার চাকরি প্রার্থীরদের প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ইতোপূর্বে জারীকৃত সকল সার্কুলার এ বৈষম্য বিরোধি আন্দোলনকারীদের সুযোগ দেয়ার জন্য প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি জারী করা প্রয়োজন। কর্পোরেশনের মালিকানাধীন অনেক জায়গায় বিভিন্নভাবে অবৈধ দখল হয়ে যাচ্ছে, এসব কর্মচারীদের কোয়ার্টার, খেলার মাঠ ও ব্যায়ামাগার নির্মাণ করলে জায়গাগুলো দখল এর হাত থেকে বাঁচানো যাবে। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর দুর্নীতিবাজদের কার্যক্রম বন্ধ করণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
আ. দৈ. /কাশেম