শিবালয়ে পরকীয়া প্রেমের বলি হলো নুরজাহান বেগম (৩৩)। নিশংস্বভাবে হত্যাকারি পাষণ্ড প্রেমিক আলিফকে ৪দিন পর গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে আসামী আলিফের জবানবন্দী অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশে একটি পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে র্যাবের সহযোগীতায় টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামী আলিফকে গ্রেপÍার করা হয়।
আলিফ শিবালয় উপজেলার ছোট বোয়ালী গ্রামের মো.আতোয়ার (আকালি’র) ছেলে। সে নিহত নুরজাহানের স্বামী ইখলাছের সাথে কাঠ কাটার কাজ করতো। এ থেকেই নুরজাহানের সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘ ৭/৮ বছর যাবত চলছে তাদের এ পরকীয়া। এ ঘটনা জানাজানি হলে নুরজাহানের স্বামী তাকে আলিফের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে আলিফ এবং নুরজানের মধ্যে মান-অভিমান চলছিল। পরকিয়ার এ জেরে গত ১৮ নভেম্বর ঘটনার দিন নুরজাহানের স্বামী ইখলাস সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাজারে সার আনতে যায়। এ সুযোগে ওই রাতে দু’জনে ফোনে যোগযোগ করে একত্রিত হয়ে পাশে একটি ঘাস ক্ষেতে যায় এবং সেখানে শারীরিক মেলামেশার একপর্যায়ে তাকে চাকু দিয়ে জবাই করে হত্যা করে প্রেমিক আলিফ।
শিবালয় থানার ওসি এআরএম আল মামুন বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুুক্তি ব্যবহার করে র্যাবের সহযোগিতা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার সলিমাবাদ এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা আসামি আলিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আ. দৈ. /কাশেম/ সুমন