দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সড়কে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন কক্সবাজারে বেড়াতে আসা হাজারো পর্যটকরা।
আন্দোলনকারী আব্দুল মালেক বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্ট মার্টিনবাসী ও পর্যটন খাতে নির্ভরশীল হাজার হাজার পরিবারকে মেরে ফেলার ফাঁদ পাতা হয়েছে। এতগুলো পরিবারকে বেকার করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ আমারা কক্সবাজার ছাড়ব না। রাজপথেই অবস্থান করবো।
সুফিয়া নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার ঘরে রান্না করার মতো কিছু নেই। নেই কোন বাজার করার মত টাকা আমরা কোথায় যাব কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। তাই আজ সেন্ট মার্টিন থেকে কক্সবাজারে এসে আন্দোলন করছি। আমাদের এই হাজারো পরিবারকে বাঁচান।
জসিম উদ্দিন শুভ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, বিদেশে পর্যটন বাঁচাতে সরকার ক্ষতিপূরণ দেয় আর আমার দেশে কালো আইন দিয়ে পর্যটন বন্ধ করে দ্বীপবাসীর বেকার করতেও দ্বিধা করছে না। হয় ভাত দেন, না হয় খেয়ে পড়ে বাঁচার সুযোগ করে পর্যটক যাওয়ার সুযোগ করে দেন।
আব্দুর রহমান নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির ১০ হাজারের বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ পর্যটক তাদের বিনোদন থেকে। আমরা পড়াশোনা করতে পারছি না অর্থের অভাবে। সেন্ট মার্টিনের মানুষ পর্যটকদের টাকায় চলে। এদের আসায় বাঁধা মানেই হাজার হাজার পরিবারকে বেকার করে পথে বসিয়ে দেওয়া। হাজার হাজার পরিবারকে বাঁচাতে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চাই।
আ. দৈনিক/ কাশেম/ বিজন